Home First Lead চারুকলায় ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়ে গেছে

চারুকলায় ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়ে গেছে

ছবি:সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বানানো ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি পুড়ে গেছে। বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনকে সামনে রেখে এগুলো তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে তৈরি হচ্ছিল সেখানে আগুনে পুড়ে গেছে মোটিফ দুটি।

শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে সরেজমিনে দেখা গেছে,  আগুনে দানবীয়  ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতির মোটিফটি পুরোপুরি এবং শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়ে গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ-এর অনুমান, ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে পাঁচটার মধ্যে আগুন লেগেছে । সে সময়ে  দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো এই কাজটি করা হয়েছে।

 

আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটিফের ধ্বংসাবশেষ। ছবি সংগৃহীত

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোরে আগুন লেগে এমনটি হয়েছে। দুটি মোটিফ পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনিও জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিম চারুকলায় নিরাপত্তায় দায়িত্বে ছিল। ভোর সাড়ে চারটার দিকে মোবাইল টিম ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়। তখন সেখানে শুধু পুলিশ উপস্থিত ছিল। এর কিছু সময় পরেই যে জায়গাতে শেখ হাসিনার মোটিফটি ছিল সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নেভানো হলেও শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এটা একেবারে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটার পরপরই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, পুলিশের কর্মকর্তারা এসে উপস্থিত হন। এখনো সিসিটিভি ফুটেজ দেখার করা হচ্ছে। কে বা কারা এটি ঘটিয়েছে সেটি দেখা হচ্ছে।’

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি।’ এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাঁড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে বলা হচ্ছিল।