এপর্যন্ত নদী থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা
হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের সাথে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসির কাছে হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র ৩ মাইল দক্ষিণে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক সংবাদে জানা যায়,যাত্রীবাহী বিমানটি অবতরণ করছিল, আর ঠিক সেই সময়ে আমেরিকার সামরিক হেলিকপ্টারটি সামনে চলে আসে। হেলিকপ্টার এবং বিমান দু’টিই তখন পোটোম্যাক নদীর উপরে। ধাক্কা লাগতেই যাত্রিবাহী বিমানটি নদীতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে যায়।
এখন পর্যন্ত নদী থেকে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে ৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ছাড়া একটি বিমান রানওয়েতে পৌঁছনোর সময় একটি মিলিটারি ব্ল্যাক-হক কপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় । আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫৩৪২-এর সাথে একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সাথে সংঘর্ষটি হয়েছে । সংঘর্ষে বিমানটি পাশের নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ডিসি বিমানবন্দর থেকে সব উড়ান ওঠানামা আপাতত বন্ধ করে দেওয় হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে মার্কিন ফেডারেল বিমান পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বলে, মার্কিন পূর্ব উপকূলের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রাত ৯টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
রিগান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরটি হল বিশ্বের সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ও পর্যবেক্ষণ করা আকাশসীমার মধ্যে একটি ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ক্রুজ বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না যে বিমানের কতজন নিহত হয়েছেন, তবে আমরা জানি যে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।’ এদিকে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান হোয়াইট হাউজ প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট।
গত ২ জানুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ফুলারটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল আরও একটি ছোট বিমান। এই দুর্ঘটনায় ২ জনের মত্যু ঘটেছিল। আরও ১৮ জন যাত্রী তাতে আহত হয়েছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে এই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল।
গত ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বোয়িংয়ের বিমান। বিমানটি ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং’ করে। এর জেরে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বিমানে। বিমানটি প্রায় পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় মাত্র ২ জনকেই জীবিত বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে বিমানের বাকি ১৭৯ জন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত৷” পাশাপাশি যাত্রীদের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “ঈশ্বর তাদের আত্মার মঙ্গল করুন ।”
Jan 29: American Airlines plane crashed into a helicopter while landing at Reagan National Airport near Washington, DC – this led to reported fatalities and a search and rescue in the Potomac River – flights at the airport have been halted
— Codey369 (@Codeym369) January 30, 2025