Home Second Lead বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ ৭৪.৩৩ শতাংশ শেষ

বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ ৭৪.৩৩ শতাংশ শেষ

ফাইল ছবি

‘দেশেই ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে’

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সহ বিভিন্ন রোগের টিকা উৎপাদনের জন্য দেশেই ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর বিশ্বে টিকা আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বেড়ে গেছে।

করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে। ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট এবং ভ্যাকসিন নীতিমালা হলে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে, সে কথাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।

সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-২০২০ সময়কালে এসডিজি অর্জনে সর্বোচ্চ সাফল্যের জন্য আমাকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। ওই সম্মাননা প্রদানকালে করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমাকে ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন’ বলে অভিহিত করা হয়।”

তিনি বলেন, মহামারীতে বৈশ্বিক অর্থনীতির সংকোচন ও টিকা বৈষম্য বিশ্বের অনেক দেশেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। কিন্তু এই মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে- এই পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। এই পুরস্কার শত প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে যেমন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে, তেমনি বাংলাদেশের সক্ষমতার উপর বিশ্ববাসীর আস্থা দৃঢ়তর করেছে।

বাংলাদেশের জনগণই এ পুরস্কারের প্রকৃত অংশীদার।

স্বাধীনতা অর্জন থেকে শুরু করে আজকের বাংলাদেশের যত অর্জন, সবই দেশের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন।
পদ্মা সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৮৮.৭৫% জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভৌত কাজের ৮৮.৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জুন ২০২২ সালের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর হবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সাথেও যুক্ত হবে, যা প্রতিবেশী দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভায়াডাক্টসহ ৯.৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুই বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ ৭৪.৩৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে যথাসময়ে সাবওয়ে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।