বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বঙ্গবাজার এলাকায় ভয়াবহ আগুনে সাড়ে ৫ হাজার দোকান পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ২০০০ কোটি টাকার।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট প্রচেষ্টা চালিয়ে বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পানি সংকট, উৎসুক জনতা ও বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি তবে ফায়ার সার্ভিসের ৫ জনসহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে একে একে ৪৮টি ইউনিট যোগ হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (এফএসসিডি), ভলেন্টিয়ার, র্যাব, সেচ্ছাসেবক, দোকান মালিক-কর্মচারী ও স্থানীরা।
২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ফায়ার সার্ভিস ঘোষণা করেছিল। সেখানে এসংক্রান্ত ব্যানারও টানিয়ে দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে নোটিশ দেয়া হয়েছিল ১০ বার। তারপরেও এখানে ব্যবসা চলছিল।
জানা যায়, বঙ্গবাজার এলাকায় অন্তত ৯টি মার্কেটে আগুন লাগে। এক জায়গায় হওয়ায় মূলত সবগুলোকেই লোকজন বঙ্গবাজার মার্কেট হিসেবে ডেকে থাকেন। এখান থেকে রাস্তার উল্টো পাশে বলিশাল প্লাজা, ইসলামীয়া ও বঙ্গো হোমিও মার্কেটেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এর মধ্যে বঙ্গবাজার আদর্শ মার্কেট, গুলিস্তান সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই ৪ মার্কেটেই প্রায় ৩ হাজার দোকান ছিল এবং সেখানে কাজ করেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।