বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি তীব্রতা বাড়িয়ে ‘অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ থেকে আরও বেশি শক্তিশালী ‘সুপার সাইক্লোন’-এ পরিণত হয়েছে।
এ খবর দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ কিলোমিটার থেকে ১৬৫ কিলোমিটার হলে সেটা ঘূর্ণিঝড়। ১৬৬ কিলোমিটার থেকে ২২০ কিলোমিটার হলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২১ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তখন সেটা সুপার সাইক্লোন। গত বছর ঘূর্ণিঝড় ফণী কিছুক্ষণের জন্য সুপার সাইক্লোনের গতি পেয়েছিল বলে দাবি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থাগুলোর। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর তার স্বীকৃতি দেয়নি। সেই হিসেবে ২১ বছর পর আবার সুপার সাইক্লোন জন্ম দিল বঙ্গোপসাগর।
২১ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে শেষ বার সুপার সাইক্লোন দেখেছিল বঙ্গোপসাগর। হানা দিয়েছিল ওড়িশায়। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পারাদ্বীপ-সহ উপকূল ওড়িশার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মারা গিয়েছিলেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সোমবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে এই সাইক্লোন। আশঙ্কা সত্যি করে ‘সুপার সাইক্লোন’-এ পরিণত হল ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস: বুধবার ২০ মে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার কথা এই সুপার সাইক্লোনের। রবিবার পর্যন্ত এর গতি ছিল ৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। আজ অর্থাৎ সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ১৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আজ সকালেই দিঘা থেকে ৯৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল ঝড়টি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও ১০০ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে।
আবহাওয়া দফতর ও বিভিন্ন বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার সর্বশেষ আপডেট বলছে, এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি কলকাতা থেকে মাত্র ১০৬৭ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং দিঘা থেকে ৯৮০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে । গত ১২ ঘণ্টায় সামান্য গতিপথের বদল হয়েছে আমফানের। উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরেছে গতিমুখ। ফলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল যে এলাকায়, তার কিছুটা বদল আসতে পারে। দিঘার বদলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পূর্বাভাসে দেখানো হয়েছে যে ১৯ তারিখের পর থেকে ক্রমশই স্থলভূমির সঙ্গে দূরত্ব কমবে । আশঙ্কা করছেন, যেখানেই এই ল্যান্ডফল ঘটুক, তার আগে যদি একটুও শক্তি না কমায়, তবে এই সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়ার সময়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকতে পারে। আয়লা বা বুলবুলের থেকেও দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। তেমনটা হলে বড় বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হবে।