বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বন্ড বিনিয়োগের আবেদনপত্রের ধরণ কেমন হবে, তার নতুন নির্দেশনায় বিনিয়োগকারী ভেদে দিক নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অভিন্ন আবেদন প্রক্রিয়া এবং আবেদনের সময় সংযুক্ত করা ডকুমেন্টেসের বিষয়ের ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, এতদিন আবেদনের ধরন ভিন্ন হতো এবং আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নথিপত্র থাকতো না। বিনিয়োগের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে এতদিন একক নির্দেশনা ছিল না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে। নির্দেশনায় উল্লেখিত নথিপত্রসহ আবেদনপত্রগুলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা রাখতে হবে। নতুন নির্দেশনায় বিনিয়োগকারী ভেদে নথিপত্রের তালিকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে আবেদনপত্রের ধরণ কেমন হবে সেটিও বলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনের সময় সেগুলো প্রদর্শন করতে বাধ্য থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধুমাত্র আবেদনের সফট কপি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাতে হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা গভরমেন্ট সিকিউরিটিজ বিনিয়োগ উন্ডোর-মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিজ ও বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
এই ধরনের বিনিয়োগকারীদের বলা হয়, বিজনেস পার্টনার। তাদের হয়ে প্রাইমারী ডিলাররা (২০টি ব্যাংক) আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়। দেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সরকারি বন্ড ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে পারবে। বিনিয়োগের সর্বনিম্ন সীমা ১ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ব্যক্তি গ্রাহকরা ব্যাংকের হিসাব বিবরণী, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি, ছবি, কর শনাক্তকরণ নম্বর, নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বিপি আইডি খুলতে পারবেন।
অনিবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রা বা স্থানীয় মুদ্রায় পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণীসহ অন্যান্য তথ্য দিতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইনকর্পোরেশন সনদ ও নিবন্ধিত ঠিকানাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বিপি আইডি খোলার আবেদন করা যাবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।