Home Second Lead বন্দরের এত সুরক্ষার মধ্যে কিভাবে লোপাট হলো?

বন্দরের এত সুরক্ষার মধ্যে কিভাবে লোপাট হলো?

এই কন্টেইনারের পণ্য লোপাট হয়েছে
  • ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: এই মুহূর্তে ৪৭ হাজার টিই্‌উসের বেশি কন্টেইনার বন্দর সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে। সেখানে কোনটা কোথায় তা কেবল বন্দরের ট্রাফিক শাখা জানে। আর অবস্থান চিহ্নিত করা গেলেও সেটা  নামাতে প্রয়োজন বন্দরের ইক্যুইপমেন্ট। এর লক খুলতে প্রয়োজন বন্দর ও কাস্টমস-এর সংশ্লিষ্টদের। কন্টেইনার থেকে পণ্য বোঝাই করে কাভার্ড ভ্যান, ট্রাকের বের হওয়ার সময় রয়েছে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ এবং কাস্টমস-এর তল্লাশি ও ওজন মাপার ব্যবস্থা। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সবার সন্তুষ্টিতে সম্ভব পণ্য নিয়ে কাভার্ড ভ্যানের বের হয়ে যাওয়া।

আর বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে প্রবেশের সময় চোখের রেটিনা, আঙ্গুলের ছাপ এবং গাড়ি প্রবেশে প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস, চালকের চোখের রেটিনা ও আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়।

এসব ব্যবস্থার মধ্যে লোপাট হয়েছে ঢাকার সবুজবাগে ৩৭৬, দক্ষিণ বাড্ডা (লেভেল-৭) ঠিকানার  কেমস ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এক কন্টেইনারের সমূদয় পণ্য। আগ্রাবাদে ৮/৫০৫০, লাকি প্লাজা (৫মতলা) ঠিকানার আরএম  এসোসিয়েটস সি এন্ড এফ এজেন্ট।

আইজিএম অনুযায়ী  ২৬ হাজার ৩০০ কেজি ফেব্রিক্স ছিল। রবিবার কায়িক পরীক্ষায় গিয়ে কাস্টম হাউসের এআইআর কর্মকর্তারা দেখেন যে তাতে আসল সীল নেই। এর পরিবর্তে অন্য সীল। খুলে দেখা যায় ৪০ ফুট কন্টইনারটির((এমএসকেইউ-০১০৮৫৭৮) ভিতরে নেই কিছুই। একেবারে খালি। শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের ঐ কাঁচামাল শুল্কমুক্ত। প্রকৃতপক্ষে এর পরিবর্তে শুল্কযোগ্য কোন পণ্য থাকায় পাচার করে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এমসিসি ড্যানাং জাহাজে কন্টেইনারটি পৌঁছে।

কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফকরুল আলম জানান, আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে প্রাথমিকভাবে।  বন্দর ও কাস্টমসের কোন কারও কোন যোগসাজশ আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানানো হয়, বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিভাগের ‍উপ-পরিচালক রেজাউল হক ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক।