Home Uncategorized বন্দর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের টিকা ১৪ জুলাই থেকে

বন্দর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের টিকা ১৪ জুলাই থেকে

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিন সমুদ্র ও স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় করোনা টিকা দেয়া হবে। ১৪ জুলাই (বুধবার) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিরাস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়ে কাজ করতে পারবে। করোনা টিকার কোন সংকট হবেনা। জরুরি সেবার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরি চলাচল অব্যাহত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমুদ্র ও স্থলবন্দওে প্রথম পর্যায়ে ১২,০০০ টিকা দেয়া হবে। টিকাদান কর্যক্রম চলমান থাকবে। বন্ধ হবেনা। সমুদ্র ও স্থলবন্দরে অনেক দক্ষ লোক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। করোনায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্দরের কাজকর্ম অচল হয়ে যাবে। সরকার অগ্রাধিকারভাবে তাদেরকে টিকা দিবে। তারা ঝুঁকিমুক্তভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়ে কাজ করবে। প্রথম দিকে টিকার সংকট প্রকট ছিল। অনেক দেশ টিকা পাচ্ছিল না। ৩০টি দেশের তালিকায় প্রথম থেকে আমরা টিকা পেয়েছি। ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা সঠিক নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের সার্চ থেকে সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলো ঝুঁকি নিয়ে সচল রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ সাপ্লাই চেইন সচল রেখেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে করোনায় ১৫ জন মারা গেছে। সেখানে করোনার জন্য ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে। মোংলা বন্দরে কাজ চলছে। সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলোতে প্রথমধাপে করোনা টিকা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ হয়নি, সচল ছিল এবং বর্তমানেও চালু আছে। তবে, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সকল ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা সফল হব। জীবনে অনেক ঈদ আসবে। বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারব।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি