বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ‘চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন কর্তৃক ‘ ২১ দিন ব্যাপী কর্ণফুলীর নদীর শাহআমানত ব্রিজ থেকে ফিরিঙ্গিবাজার মনোহরখালী কর্ণফুলী নদীর প্রস্থ জরিপে কর্ণফুলীর দখল ও ভরাট হওয়ার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। বিএস সিট, Asian Development Bank, Chittagong Port Authority প্রণীত Strategic Master Plan For Chittagong Port এর General Information CPA Land use 2014 অনুযায়ী কর্ণফুলীর প্রস্থ ধরে উক্ত জরিপ করা হয়।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের অভিযোগ , বন্দর কর্তৃপক্ষ উক্ত প্রকল্পকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো নদী লিজ দিয়ে কর্ণফুলীর সর্বনাশ করেছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে কর্ণফুলী ভরাট ও দখল জরিপ প্রতিবেদন ২০২০ প্রকাশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন কর্তৃক সাংবাদ সম্মেলনে উক্ত প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জরিপ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ( ভারপ্রাপ্ত ) অধ্যাপক (প্রকৌশলী) এম আলী আশরাফ, সদস্য অধ্যাপক প্রকৌশলী স্বপন কুমার পালিত, কর্ণফুলী গবেষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক নোমান আহমাদ সিদ্দিকী, সিনিয়র সাংবাদিক ও পরিবেশ সংগঠক আলীউর রহমান প্রমুখ।
জরীপে দেখা যায় , কর্ণফুলী ব্রিজ নির্মানের সময় এডিবি মাস্টার প্ল্যান ও বিএস সিট অনুযায়ী কর্ণফুলী প্রস্থ ছিল ৮৮৬.১৬ মিটার। চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের জরিপে দেখা যায় কর্ণফুলীর প্রস্থ ছিল ৮৮৬.১৬ মিটার। তবে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনে জরীপে দেখা যায় , কর্ণফুলীর প্রস্থে মাত্র ৪১০মিটার। যেখানে প্রস্থে ৮৯৮ মিটার সেখানে বাস্তবে তা ৪৬১ মিটার। এরূপ বিভিন্ন অংশে জরিপ করে দেখা গেছে যে জরিপে যেরূপ থাকার কথা ছিল বাস্তবে তার বিপরীত। বন্দর কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী বলে দাবি করেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যরা।