বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: তৃতীয় দফায় শতভাগ স্টোররেন্ট মওকুফের পরও যে অবস্থা তাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। তাই চতুর্থ দফায় আর মওকুফ সুবিধা প্রদানে আগ্রহ নেই বন্দর প্র্রশাসনের।
প্রত্যাশিত সুফল না পাওয়ায় রবিবার থেকে স্বাভাবিক ভাড়ার ওপর ৪গুণ হারে দণ্ডভাড়া আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার শেষ হয়েছে শতভাগ স্টোররেন্ট মওকুফের সময়সীমা। সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে আবারও মওকুফ সুবিধা চেয়েছে বিজিএমইএ। এখন পরিস্থিতি কি?
বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ৩০ ভাগ জায়গা খালি রাখতে হয়। সে হিসাবে বন্দরে কন্টেইনার থাকা উচিত ৩৫ হাজার টিইউসের মতো। প্রায় ২৫ হাজার টিইউস কন্টেইনার স্থানান্তর হয়েছে ১৭ অফডকে। তারপরও প্রায় ৪৫ হাজার টিইউস কন্টেইনারের বিশাল জট বন্দরে।
২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি মারাত্মকভাবে হ্রাস যায়। ফলে বন্দরে নজিরবিহীন কন্টেইনার জটের সৃষ্টি হয়। প্রায় অচল হয়ে পড়ে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের কন্টেইনার ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করতে শতভাগ স্টোর রেন্ট মওকুফের ঘোষনা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়ীদের অনুরোধে তিন দফায় ৫১ দিন বাড়ানো হয় রেন্ট মওকুফের সময়সীমা। শনিবার শেষ হয়েছে সময়সীমা ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্দরের বিরাট অংকের আর্থিক ক্ষতির পরও করোনাকালীন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কন্টেইনার খালাস নিতে না পারায় ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় বন্দরের স্টোর রেন্ট মওকুফের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু দেখা গেছে এ সুযোগ পাবার পরও আশানুরূপ কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া হয়নি। গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলেছে, গোডাউন খুলেছে, আমদানি পণ্য নিয়ে রাখার কোন সমস্যা নেই। তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন ফেলে রেখেছে কন্টেইনার। মনে হচ্ছে স্টোর রেন্ট মওকুফের সুযোগে ব্যবসায়ীরা বন্দরকে গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করছে। তাই স্টোর রেন্ট মওকুফের সময়সীমা আর না বাড়ানোর পক্ষেই আমার অবস্থান।
বন্দরে আমদানি পণ্যের কন্টেইনারের ওপর শতভাগ রেন্ট মওকুফের তৃতীয় দফায় বাড়ানো সময়সীমা শনিবার শেষ হয়েছে। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে আবারো সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রেফার কন্টেইনারে রবিবার থেকে দণ্ড ভাড়া কার্যকর হচ্ছে। অন্যান্য কন্টেইনারেও তা আরোপের সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।