Home Second Lead বন্দর নগরীতে সর্বাত্মক লকডাউন

বন্দর নগরীতে সর্বাত্মক লকডাউন

ছবি: আজিম অনন


বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ দেশে হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় এর বিস্তার রোধে আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। ফলে চট্টগামসহ দেশের সব জায়গায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
সরকার ঘোষিত ৮ দিনের লকডাউনের প্রথমদিন নগরজুড়ে দেখা গেছে আদেশ পালনের প্রবণতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। 

সকালে চট্টগ্রামের রাহাত্তারপুল, চকবাজার, প্রবর্তক মোড় ও ২ নম্বর গেইট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার সড়কে শুধু পণ্যবাহী কিছু যানবাহন চলছে। নেই কোনো গণপরিবহন। রাস্তায় মানুষজনও একেবারে সীমিত। এছাড়া লোকজনের ভিড় ঠেকাতে নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা কঠোরভাবে পাহারা দিচ্ছেন। সন্দেহজনক যানবাহনে চলছে তল্লাশিও। 
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গুটিকয়েক রিকশা চলাচল করছে সড়কে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) রমজান মাস শুরু হওয়ায় অনেকে রোজা রেখেছেন। পাশাপাশি পহেলা বৈশাখের আয়োজন স্থগিত করায় নগরবাসীকে ঘরেই থাকতে হচ্ছে। 
অবশ্য শিল্প কারখানা খোলা থাকায় গার্মেন্টস কর্মীদের কাজে যেতে হচ্ছে। লেনদেনের সুবিধার্থে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে ব্যাংকও।  

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া বন্ধ থাকবে শপিংমল। অন্যদিকে কাঁচাবাজারে কেনাবেচা হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্দিষ্ট সময় শুধু খাবার বিক্রি, সরবরাহ করতে পারবে। 
এই সময় অতি জরুরি দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে যাওয়া যাবে। এছাড়া বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন: কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকছে। 

অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।