Home Second Lead বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসা সুবিধা চেয়েছে বিএসসি

বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসা সুবিধা চেয়েছে বিএসসি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ( বিএসসি ) তাদের প্রায় ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসা সুবিধা চায়।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে বিএসসি তাদের এই অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছে। বিএসসির জেনারেল ম্যানেজার গত ৯ জুন বন্দর চেয়ারম্যানকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে।

শিপিং কর্পোরেশন তাদের প্রায় ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবার পরিজনদের জন্য করোনা ও অন্যান্য চিকিৎসা সেবা চেয়েছে বন্দর হাসপাতালের। সংস্থাটির নিজস্ব কোন হাসপাতাল নেই। তালিকাভুক্ত কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা হয় তাদের।

বিএসসি বলেছে, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সেই চিকিৎসা সেবা পাওয়া দূরুহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ কোন ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না তাদের কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য। তাই এদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের সুবিধা চায়। বিএসসি তা পেলে আর্থিক ব্যয় বহন করবে বলেও জানিয়েছে বন্দরকে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এ প্রসঙ্গে জানান যে বিএসসি তাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে পত্র দিয়েছে। তবে, বন্দর কর্তৃপক্ষের আপাতত বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত নেই।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিএসসি শাখা থেকে সিনিয়র সহকারি সচিব গত ১৪ জুন বন্দর চেয়ারম্যান বরাবরে এক পত্রে শিপিং কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং তাদের পরিবারবর্গকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় আর একটি প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন বন্দর সিবিএ’র এক কর্মকর্তা।

চট্টগ্রামে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনে চট্টগ্রামে আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেরিন একাডেমি, নৌ বাণিজ্য বিভাগ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান। এদের কোনোটার নিজস্ব হাসপাতাল নেই। মেরিন একাডেমির নিজস্ব একটি ডিসপেন্সারি রয়েছে।

বন্দর এলাকার সাধারণ জনসাধারণও দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসা সুবিধার জন্য। এ প্রসঙ্গে তারা উল্লেখ করেছে যে তাদের বা তাদের পূর্বপুরুষের জমিতে গড়ে উঠেছে বন্দর স্থাপনা।