এখনকার সেডেন্টারি লাইফস্টাইলে সকলেই ছুটছেন। তারপর এখন অনেকেই বেশি বয়সে বিয়ে করছেন। তাই সন্তানধারণে অনেক রকম জটিলতা হচ্ছে। সে নিয়ে ভয় ও দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। বন্ধ্যত্বের সমস্যা বাড়ছে। আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগেও বন্ধ্যত্বের (Infertility) সমস্য়া এত বাড়েনি। এখন প্রতি ৭ জন দম্পতির মধ্যে একজন দম্পতি (১৫%) বন্ধ্যত্বের শিকার।
বন্ধ্যত্বের কী কী চিকিৎসা আছে?
চার রকমের পদ্ধতি আছে–ওষুধ, সার্জারি, আইইউআই ও আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন)। এই সার্জারিগুলোকে বলা হয় ফার্টিলিটি এনহ্যান্সিং সার্জারি (Infertility)। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাপারোস্কোপি ও হিস্টেরোস্কোপিক সার্জারি। ক্যামেরা ঢুকিয়ে জরায়ুর অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। ইউট্রাইন পলিপ, ইউট্রাইন সেপটা, ইউট্রাইন অ্যাডহেশন ও টিউবাল ব্লক থাকলে হিস্টেরোস্কোপিক সার্জারি করা যেতে পারে।
ওভারিতে যদি সিস্ট থাকে সেক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক অস্ত্রোপচার করা হয়। তাছাড়া চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডহেসিওলাইসিস, ইউট্রাইন ফাইব্রয়েড ও টিউবাল ব্লকের ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করা হয়ে থাকে।
আইভিএফ পদ্ধতির সাফল্যের জন্য প্রাথমিকভাবে এই সার্জারিগুলো করা হয়। যদি জরায়ুতে পলিপ থাকে তাহলে সেটা বের করে দেওয়া বা সেপটা কেটে দেওয়া ইত্যাদি। প্রাথমিকভাবে এই সার্জারিগুলো করা থাকলে পরে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করা সহজ হয়।
ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি করে ফ্যালোপিয়ান টিউবের জট ছাড়ানো যায়। তবে এই অপারেশন করার আগে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। প্রথমত, মহিলার বয়স যদি কম হয় এবং স্বামীর শুক্রাণু সচল ও সক্রিয় থাকে তাহলে টিউবার অপারেশনের পরে স্বাভাবিক উপায়ে মাতৃত্ব লাভ সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় টিউবাল সার্জারির পরে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির ঝুঁকি বেড়েছে। জরায়ুর বদলে ভ্রূণ ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে উঠতে শুরু করে। তখন পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। এমন সমস্যা তৈরি হলে তখন মাতৃত্ব লাভের একমাত্র উপায় হল ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতি।