Home First Lead বহির্নোঙরে টমিনি ডেসটিনির পণ্য খালাসে অচলাবস্থা

বহির্নোঙরে টমিনি ডেসটিনির পণ্য খালাসে অচলাবস্থা

এমভি টমিনি ডেসটিনি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি টমিনি ডেসটিনির মাস্টারের উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সিটি গ্রুপের আমদানি করা সয়াবিন দানা খালাসে।

টমিনি ডেসটিনি অবস্থান করছে বহির্নোঙরে। এতে রয়েছে ৫৫,২৩১ টন সয়াবিন দানা। মার্শাল পতাকাবাহী জাহাজটি পৌঁছে ৩১ মার্চ রাতে। এরপর থেকে জাহাজটির ভারতীয় মাস্টার রজনীশ শাহ এবং অন্যান্য নাবিক মিলে ভারত সরকার, নাবিক ইউনিয়ন  এবং হিউম্যান রাইটস এট সি’সহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে নানা রকমের অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন জাহাজ মালিক টমিনি ট্রান্সপোর্টস এলএলসি, চার্টারার ওয়েস্টার্ন বাল্ক ক্যারিয়ার এ/এস’র বিরুদ্ধে।

করোনাভাইরাস আশংকা শুরু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে পণ্য খালাসের সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এ পর্যন্ত কোন জাহাজের পক্ষ থেকে বা পণ্য খালাসে জড়িতদের পক্ষ থেকে কোন রকমের কোন অভিযোগ নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। তা সত্ত্বেও এমভি টমিনি ডেসটিনির মাস্টার অভিযোগ করেছেন যে চট্টগ্রাম বন্দরে করোনা পরীক্ষা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা যথাযথ নয় এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে তাদেরকে পণ্য খালাসে বাধ্য করা হচ্ছে।

অপরদিকে, স্থানীয় এজেন্টকে মাস্টার জানিয়ে দিয়েছেন যে করোনা ঝুঁকির কারণে ফ্লোটিং ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে, কোন স্টিভিডোরিং শ্রমিককে জাহাজে উঠতে দেয়া হবে না।

এ অবস্থায় টমিনি ডেসটিনির পণ্য খালাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

শিপহ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠান এম এ কালাম সূত্র জানায়, বহির্নোঙরে ফ্লোটিং ক্রেনে পণ্য খালাসের কোন ব্যবস্থা চট্টগ্রামে নেই এবং ছিল না। ফ্লোটিং ক্রেনে পণ্য খালাসের দাবি অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জানানো হয়, পণ্য খালাসের জন্য গ্যাং প্রস্তুত। শিপিং এজেন্ট থেকে সিগন্যাল পেলে গ্যাং পৌঁছে যাবে।

এমভি টমিনি ডেসটিনি থেকে বহির্নোঙরে ফ্লোটিং ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাসের দাবি প্রসঙ্গে এক শিপহ্যান্ডলিং অপারেটর  বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধিকে জানান, বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের জন্য এরকম কোন ব্যবস্থা নেই। তারপরও যদি কেউ সেই ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে সমূদয় সয়াবিন দানা খালাস ৬ মাসেও সম্ভব হবে না।

শিপিং এজেন্টসূত্র জানায়, মাস্টারের সাথে বুঝাপরা করার চেষ্টা চলছে। স্টিভিডোরিং কর্মীদের জাহাজে উঠা ছাড়া খালাস সম্ভব নয়। এদেরকে জাহাজে উঠতে দিতে হবে।  তবে, কোনোভাবে তারা কেবিনে প্রবেশ করবে না সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন তাদের ইতিবাচক সাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে এজেন্ট।

উল্লেথ্য, শিপিং এজেন্ট, শিপহ্যান্ডলিং অপারেটর, লাইটারিং সবকিছুই আমদানিকারকের অর্থাৎ সিটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রিত।