বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এখনও এগিয়ে জো বাইডেন। ভোটের সংখ্যার বিচারে জো টক্কর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
গোনা গুণতি এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচনের লড়াইয়ে মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
বাইডেনের দখলে ২৫৩টি ইলেকটোরাল ভোট এই মুহূর্তে । অন্যদিকে ট্রাম্পের দখলে ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট। অর্থাৎ পেনসিলভেনিয়ার ২০টি ইলেকটোরাল ভোট পেলেই বাইডেনের ২৭৩টি ইলেকটোরাল ভোট হয়ে যাবে। তাহলেই ভোটে জিতে যাবেন তিনি।
অবশ্য শুধুমাত্র পেনসিলভেনিয়া নয়, এখনও ফল ঘোষণা বাকি থাকা প্রদেশগুলির মধ্যে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাদাতেও সামান্য এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। মোট ১৪ কোটি ৭০ লাখ ভোটের মধ্যে ট্রাম্পের থেকে প্রায় ৪১ লাখ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাডাতে তাঁর এগিয়ে থাকার মার্জিন অনেকটাই কম। জর্জিয়াতে মাত্র ৩৯৭৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
যে রাজ্যগুলিতে আসন সংখ্যা বেশি এবং লড়াইটাও জোরদার তার মধ্যে রয়েছে জর্জিয়া (১৬), মিশিগান (১৬), নেভাদা (৬), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫) ও পেনসিলভেনিয়া (২০)। গতকালই বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, যদি পেনসিলভেনিয়ার অধিকাংশ ভোটই বাইডেনের পক্ষে চলে আসে তাহলেই তাঁর জেতার রাস্তা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই ট্রেন্ডই দেখা যাচ্ছে।
পেনসিলভেনিয়াতে বাইডেন এগিয়ে যেতেই পথে নেমেছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা। যেখানে ভোট গণনা হচ্ছে তার বাইরে হলুদ টি-শার্ট পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। তাতে লেখা ‘প্রতিটি ভোট গুণতে হবে’। অন্যদিকে ডেট্রয়েটে ট্রাম্পের সমর্থকরা রাস্তায় নামেন। তাঁদের অনেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। ভোটগণনা কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে তাঁরা চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘লড়াই’। সেইসঙ্গে ‘ভোট চুরি বন্ধ করুন’ স্লোগানও দেন তাঁরা।
বাইডেন জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছতেই ট্রাম্পের শিবির থেকে দাবি করা হয়েছে, উইসকনসিনের ভোট ফের গুণতে হবে। মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়াতে গণনা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে আদালতের কাছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই ট্রাম্প হুমকি দিচ্ছিলেন, ভোটের লড়াই শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের রূপ নিতে পারে। সুতরাং সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখলেই তিনি কোর্টে যাবেন। তবে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম ট্রাম্পের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।