বিজিনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সহজ ব্যবসাবান্ধব দক্ষ আয়কর ব্যবস্থার বাজেট প্রত্যাশা করছে। এ লক্ষ্যে পাঁচটি প্রস্তাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দেয়া হয়েছে এবং কার্পোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাকবাজেট ২০২১-২২ অর্থবছর আলোচনায় অংশ নিয়ে আইসিএবি প্রেসিডেন্ট মাহমুদউল হাসান খসরু সংগঠনের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
আইসিএবি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট হবে সহজ ব্যবসাবান্ধব। থাকবে দক্ষ আয়কর ব্যবস্থা। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে করোনা-পরবর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবেশ পুনরুদ্ধার, আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকে কর দিতে উৎসাহিত করতে ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আয়কর সংগ্রহে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কর ব্যবস্থা অটোমেশন, রপ্তানি বহুমুখিকরণ এবং স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিত করতে হবে। ফলে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও অধিকতর রাজস্ব আহরণ হবে।
কার্পোরেট করহার হ্রাস করলে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে। এতে দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় হবে এবং কার্পোরেট করহার হ্রাস বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করবে। বর্তমানে নন-লিস্টেট কোম্পানির ক্ষেত্রে কার্পোরেট করহার সাড়ে ৩২ শতাংশ, লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ।
পার্মানেন্ট এস্টাবলিশমেন্টের (পিই) সংজ্ঞায় নতুন বিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে মাহমুদ-উল হাসান খসরু বলেন, দ্বৈত কর চুক্তি অনুযায়ী কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন কাল ১৮৩ দিনের বেশি চললে ওই প্রকল্পকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে অবস্থিত পিই বলা হয়। দেখা গেছে, পিই হওয়া বিষয়টি এড়ানোর জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন কর্মীদের স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশে পাঠায়। যাতে তাদের কারোরই বাংলাদেশে এককভাবে অবস্থানকাল ১৮৩ দিনের বেশি না হয়। এভাবে তারা কর ফাঁকি দেয়। কাজেই আইনের ধারা ২(৪৪) (এ)-এর পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এছাড়া দ্বৈত কর চুক্তির সংশোধন কাজও শুরু করা দরকার। পিইর সংজ্ঞায় নতুন এ বিধান সংযোজন প্রয়োজন, যা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যক্তিগত বা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের অবস্থানকালের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
অনুষ্ঠানে এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।