Home Second Lead বাড়ইপাড়া খাল খনন শুরু হয়নি

বাড়ইপাড়া খাল খনন শুরু হয়নি

২০২৪ সাল নাগাদ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে: মেয়র

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বন্দরনগরী। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা নিরসনে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে চার গুণ।

মেয়াদকাল দু’বার বাড়ালেও কাজই শুরু হয়নি এখনও। এবার আরও ১১৮ কোটি চেয়ে ২০২৪ সাল নাগাদ মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সিটি কর্পোরেশন। এর ফলে তিন বছরমেয়াদি প্রকল্প মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াবে ১০ বছরে আর ব্যয় বাড়াবে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকায়।

সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, প্রকল্প নেওয়ার আগে ভালোভাবে সার্ভে করা হয়েছিল কি না বলা যাচ্ছে না। তারপরও প্রকল্পের আওতায় খাল খননের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে পাঁচটি মামলা হয়। এ মামলাগুলোর মধ্যে একটি এখনো চলছে। তবে জেলা প্রশাসককে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে। আশা করি ওই মামলাটিও শিগগিরই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আগে কাজের গতি না থাকলেও এখন গতি আসবে। বর্ধিত মেয়াদ ২০২৪ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মোট বরাদ্দের মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯১৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। মূলত জমি অধিগ্রহণের কাজে এ টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল খাল খননের কাজ সম্পন্ন করতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে সিটি কর্পোরেশন।

জানা য়ায, ২০১৪ সালের জুনে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থ খাল খননের সংস্থান এবং খালের উভয় পাশে ২০ ফুট প্রস্থের রাস্তা নির্মাণকল্পে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে অদ্যাবধি খাল খনন শুরু হয়নি। নতুন করে প্রকল্প সংশোধনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন খাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দে প্রস্তাব করা হয়েছে।

মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশের আলোকে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে জুন নাগাদ বাস্তবায়ন শেষ হবে বলে ধরে নেওয়া হয়। পরে প্রকল্পটি জুন ২০২০ সাল নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনের কাজে গতি না আসায় জুন ২০২১ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি পায়। বর্তমান বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৫ সালের চট্টগ্রামে ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশক্রমে ড্রেনেজ এরিয়া ৭ এর ২২৬৪ হেক্টর এরিয়া পানি নিষ্কাশন তথা জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থে নগরীর বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কেননা বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, খাজারোড ও চাক্তাইসংলগ্ন নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকায় স্থিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষাকল্পে বর্ণিত খাল খনন অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া খালের দুপাশে প্রস্তাবিত সড়ক নির্মাণের কারণে নতুন যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের ব্যবসা ও আবাসনের প্রসার, এছাড়া খালের দুপাশে সড়ক পার্শ্বের ফুটপাত নির্মাণের ফলে মানুষের নতুন বিনোদন সুবিধা বাড়বে বলে মনে করা হয়েছিল।