- মাসে ১৫ লাখ টাকার স্থলে পরিশোধ ১ লাখ টাকা
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বান্দরবানের পাহাড়ি রিসোর্ট সাইরুতে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। সোমবার ( ৩০ নভেম্বর) পরিচালিত অভিযানে ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির তথ্য মিলেছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাহাড়ি রিসোর্টটি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক রোডে অবস্থিত। এর মূসক নিবন্ধন নম্বর ০০১৫৭৭০৯৪-০৫০১। ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারি পরিচালক মো. মহিউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল সাইরু রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি ভ্যাট গোয়েন্দার আরেকটি দল রাজধানীর বনানীতে সাইরু প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
জানান, প্রাথমিকভাবে দুটো অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দার দল ব্যাপকভাবে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে। গোয়েন্দারা ২০১৮ থেকে রিসোর্টের প্রকৃত বিক্রয় তথ্য উদ্ধার এবং কম্পিউটার থেকে তথ্যাদি জব্দ করেছে। এতে দেখা যায়, স্থানীয় বান্দরবান ভ্যাট সার্কেলে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রকৃত বিক্রি গোপন করেছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রিটার্নে (যা নভেম্বর ১৫ তারিখে দাখিলকৃত) তাদের হোটেলে সেবা বিক্রয় প্রদর্শন করেছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, যার ওপর ১৫ শতাংশ হিসেবে আদর্শ হারে পরিশোধিত মূসক এক লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং আদর্শ হার ব্যতীত বিক্রি চার লাখ টাকা, যার ওপর সাড়ে সাত শতাংশ হারে পরিশোধিত মূসক ৩০ হাজার টাকা।
উদ্ধার করা বিক্রয় তথ্য অনুসারে, ভ্যাট গোয়েন্দার দল দেখতে পায়, ওই মাসে বিক্রি হয় এক কোটি ২৯ লাখ টাকা, যার ওপর ১৫ শতাংশ হারে প্রদেয় মূসক ১৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ মূসকসহ মোট বিক্রি এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এই হিসাব অনুসারে, কেবল অক্টোবর মাসে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
অন্যান্য মাসেও অনুরূপ ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দারা । সাইরু রিসোর্ট গড়ে প্রতিমাসে ভ্যাট দিয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। কিন্তু প্রকৃত বিক্রি অনুসারে ভ্যাট প্রযোজ্য হয় মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ভ্যাট গোয়েন্দার দলের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, সাইরু কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে।
ড. মইনুল খান জানান, জব্দকৃত কাগজপত্র যাচাই এবং আরও তদন্ত শেষে সাইরু রিসোর্টের বিরুদ্ধ ভ্যাট আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ।