১৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জণের অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংকে (পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতীসহ তাঁর পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন হয়েছে তারা হলেন, মাহবুবুল হক চিশতি, তার স্ত্রী মোছা. রোজি চিশতি, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ছেলের স্ত্রী ফারহানা আহমেদ ও তার মেয়ে রিমি চিশতি। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের বৈঠকে দুদক আইনের ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় এর আগে ৭টি মামলা করেছে দুদক। সবগুলো মামলাতেই মাহবুবুল হক চিশতীকে আসামি করা হয়েছে। ওইসব মামলায় মাহবুবুল হক চিশতী গ্রেফতার রয়েছেন।
দুদক জানিয়েছে, সবগুলো মামলাতেই আসামি হচ্ছেন মাহবুবুল হক চিশতী। আর চিশতির ছেলে রাশেদুল হক আসামি হচ্ছেন দুই মামলায়। মামলায় আরও আসামি হচ্ছেন চিশতির স্ত্রী রোজী চিশতী, মেয়ে রিমি চিশতী ও পুত্রবধু ফারহানা আহমেদ।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের অনুসন্ধানে বাবুল চিশতির নামে ২৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ, স্ত্রী মোছা. রোজি চিশতির নামে ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ, ছেলে রাশেদুল হক চিশতির নামে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, ছেলের বউ ফারহানা আহমেদের নামে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার সম্পদ এবং মেয়ে রিমি শিচতির নামে ২১ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় এর আগে ৭টি মামলা করেছে দুদক। সবগুলো মামলাতেই মাহবুবুল হক চিশতীকে আসামি করা হয়েছে। ওইসব মামলায় মাহবুবুল হক চিশতী গ্রেফতার রয়েছেন। অপর দিকে ৮৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জন ও ২ কোটি ৫২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বাবুল চিশতির শ্যালক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। মামলার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনিও কারাগারে আটক রয়েছেন।