বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত সেটি আজকে দিবালোকের মতো স্পষ্ট উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, কর্নেল ফারুক-রশীদ বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিল, তারা যখন এ ষড়যন্ত্র শুরু করে তখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিল এবং জিয়া তাদের এগিয়ে যেতে বলে।
বুধবার সচিবালয়ে সভাকক্ষে টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়ার বক্তব্যটা এমনই ছিল- আমি যেহেতু সিনিয়র অফিসার, আমি পর্দার অন্তরালে থাকব, তোমরা এগিয়ে যাও। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন মাজেদ, যার দণ্ড কিছুদিন আগে কার্যকর করা হয়েছে, তিনি তার ফাঁসির আগে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে জিয়াউর রহমান কীভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ‘ক্ষমতাসীনরা ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে নেমেছে’ এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকাটি স্পষ্ট, ইতিহাস এর সাক্ষী।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন রণাঙ্গনে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, তখন তার কাছে কর্নেল বেগ চিঠি লিখেছে যে- “তোমার কাজকর্মে আমরা খুশি এবং তোমার স্ত্রী-পুত্রদের জন্য চিন্তা করিও না, তারা ভালো আছে। মেজর জলিল সম্পর্কে তুমি একটু সতর্ক থেকো। তোমার কাজকর্মের জন্য তুমি পুরস্কৃত হবে”। আমরা পরবর্তী সময়ে দেখতে পেয়েছি সেই কর্নেল বেগ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যখন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট হয়ে গেছে, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর রিজভী আহমেদসহ বিএনপি আবোলতাবোল বকা শুরু করেছে। তাদের এ বক্তব্য হচ্ছে খুনি এবং খুনের পক্ষে। আমি তাদের অনুরোধ জানাব, তারা যেন খুনি এবং খুনের পক্ষে অবস্থান না নেন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, সংঘের সাবেক সভাপতি ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শহীদুল আলম সাচ্চু, টিভি নাট্যশিল্পী নাজমুন নেসা নিপা, ইয়ামিন জুয়েল, কচি খন্দকার প্রমুখ।