Home Third Lead বিএনপি-বিএনপি সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত

বিএনপি-বিএনপি সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত

সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া। ছবি সংগৃহীত

নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে বিএনপির বিবাদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৫০)। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কুমিল্লা: শনিবার বিকেলে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে বিএনপির বিবাদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৫০)। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৫০) হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও দায়েমছাতী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া এবং সাবেক সাংসদ আব্দুল গফুর ভূঁইয়া সমর্থকদের মধ্যে ঐ সংঘর্ষ ঘটেছে।

শনিবার বিকাল ৩টায় বাঙ্গড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলনে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। একই সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নে একটি অনুষ্ঠানশেষে পেরিয়া ইউনিয়নে আরেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। আব্দুল গফুরের সমর্থকরা গাড়িবহর নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজার অতিক্রম করার সময় মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত নেতাকর্মীরা পেছন থেকে হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন গফুর ভূঁইয়ার অনুসারীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেইসঙ্গে পাঁচ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া জানান, ‘আমি আমার অনুসারীদের নিয়ে রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান করেছি। অনুষ্ঠান শেষে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলায় পূর্বনির্ধারিত মতবিনিময় সভায় আসার পথে বাঙ্গড্ডা বাজারে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালান। এতে চার জন আহত এবং সেলিম ভূঁইয়া নিহত হন। সেলিম ভূঁইয়া আমার কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া জানান, ‘হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার প্রোগ্রাম ছিল বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নে। শান্তিপূর্ণভাবে আমি ওই প্রোগ্রাম শেষ করে সেখান থেকে চলে এসেছি। আমার প্রোগ্রামে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। পরে কী হয়েছে, তা আমি জানি না।’

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক জানান, ‘বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’