Home Second Lead বিএসইসিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৬ নির্দেশনা

বিএসইসিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৬ নির্দেশনা

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মতবিরোধের মধ্যেই শেয়ার লেনদেনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) নজরদারি আরও বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে কমিশন গঠন হওয়ার পর এবারই প্রথম নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় জোরদারের নির্দেশনাও দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ১৫ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত এক চিঠি এসইসিতে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এসইসিকে দেওয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, অবৈধ বা নিয়মবহির্ভূতভাবে কোনো কোম্পানি বা স্টেকহোল্ডার বা প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে প্রবেশ বা বের হতে না পারে, সেদিকে নজরদারি করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে তাদের পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেনের ওপর নজরদারি করতে হবে। সন্দেহজনক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া অসাধু কোনো সিন্ডিকেট যাতে বাজারকে কারসাজিমূলকভাবে প্রভাবিত করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখার কথাও বলেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এর বাইরে পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় জোরদারের পরামর্শ দিয়েছে তারা।    

নজরদারির নির্দেশনা এমন সময়ে এলো যখন পুঁজিবাজারসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মতবিরোধ চলছে এসইসির, যার প্রভাবে দুই মাসের বেশি সময় ধরে অস্থিরতা চলছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নীতি-নির্ধারণী বেশ কিছু বিষয় সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি রয়েছে।

কয়েক মাস ধরেই পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ, বিনিয়োগ ক্রয়মূল্যের পরিবর্তে বাজারমূল্যে হিসাব করা, সাতটি ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ড অনুমোদন না দেওয়া, বন্ডকে ক্যাপিটাল এক্সপোজারের বাইরে রাখাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এসইসির সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। আর এর প্রভাবে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, লোকসানে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক কোম্পানির তিন দশকের পুরনো আইনে সংস্কার না আনায় পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।