একজনের শোডাউন, অন্যজনের ভিন্ন কৌশল
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মাঝখানে একমাস। তারপর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন ( বিএসএএ )’র। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য দু’চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জোর নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তাদের একজন দলবল নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন। করছেন ব্যাপক শোডাউন। আরেকজন ভিন্ন কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছেন। একাই যাচ্ছেন হাউস টু হাউস।
আগামী ৪ এপ্রিল নির্বাচন। বিগত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল এক শ’য়ের কম। এবারে মোট ভোটার ২৬৭। এদের মধ্যে অর্ডিনারি ক্যাটেগরিতে ১৪৫ এবং এসোসিয়েট ক্যাটেগরিতে ১২২। সিডিউল ঘোষণার পর থেকে দু’টি গোষ্ঠি তৎপর। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চৌধুরী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহেদ সরওয়ার-এর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এবং সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ-এর নেতৃত্বে আর একটি গ্রুপ দেদার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ ছিলেন গেলবারের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। কিন্তু শাহেদ সরওয়ার-এর কৌশলের কাছে পরাজিত হন। সেই প্রতিশোধ নিতে সৈয়দ আরিফ এবারে শুরু থেকে আদাজল খেয়ে নেমেছেন। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, শো ডাউন বিবেচনা করলে তাতে বেশ মনে হয় যে বেশ এগিয়ে আছেন তিনি। বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সফিকুল আলম ( জুয়েল ) সহ আরও অনেকে এবার আরিফের সাথে ভোটের প্রচারণায় রয়েছেন। রয়েছেন এদের ঘনিষ্ঠরাও। গেলবারের নির্বাচনে প্রতিপক্ষ শিবিরে থাকা অনেকেও এবার এদিকে।
অপরদিকে, শাহেদ সরওয়ার নিজস্ব কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছেন। ঘুটি সাজাচ্ছেন। নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্র জানান, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি।
শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. পারভেজ সাজ্জাদ আকতার ভোটে হারজিতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। তিনিও নামতে পারেন শাহেদ সরওয়ারের পক্ষে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি বড় বড় কোম্পানির প্রভাবশালীরা, শিপহ্যান্ডলিং অপারেটর এবং লাইটার মালিকরাও। অবশ্য, শাহেদকে ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানামুখী তৎপরতা চলছে ভোটার নিবন্ধনের শুরু থেকে।
বুধবার ৩ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষদিন। এরমধ্যে মনোনয়ন এবং পরবর্তীতে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মত বিরোধে গোষ্ঠি বদল হতে পারে।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন যে গতবারে ভোটার সংখ্যা কম থাকায় আগেই আঁচ করা গিয়েছিল ফলাফল কি হতে পারে তা। কিন্তু এবারে ভিন্ন পরিস্থিতি অধিক সংখ্যায় ভোটার হওয়ার কারণে। প্যানেলের বাইরে রায় দেবেন এমন ভোটার অনেক। এদের ওপর নির্ভর করবে হারজিত।
প্রায় ১৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল সরাসরি ভোটে অর্ডিনারি ক্যাটেগরিতে ১৬ জন এবং এসোসিয়েট ক্যাটেগরিতে ৮ পরিচালক নির্বাচিত হন। দু’বছর মেয়াদের কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৮ এপ্রিল।