Home First Lead বিএসসি’র জাহাজে পণ্য পরিবহনের ডাকে সাড়া নেই বিসিআইসি’র: বৃহস্পতিবার আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা

বিএসসি’র জাহাজে পণ্য পরিবহনের ডাকে সাড়া নেই বিসিআইসি’র: বৃহস্পতিবার আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা

বিএসসি ভবন। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিনিধি

ঢাকা:

জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ( বিএসসি )’র জাহাজে পণ্য আমদানির জন্য দফায় দফায় অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন ( বিসিআইসি)কে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকেও  শিল্প মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে দেয়া হয়েছে পত্র। তারপরও বিসিআইসি নির্বিকার। এই প্রেক্ষাপটে আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ।

 নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আহূত সভায় সভাপতিত্ব করবেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

 বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ( বিএডিসি ), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ( বিপিসি ), সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট ( সিপিটিইউ ), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন ( বিসিআইসি ), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ( বিএসসি ) এবং চার্টারিং কমিটির প্রতিনিধি  উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ( স্বার্থরক্ষা ) আইন, ২০১৯ এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন আইন -২০১৭ অনুসারে সরকারি তহবিলের অর্থে সমুদ্র পথের পণ্য পরিবহন করতে হবে বিএসসির মাধ্যমে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং জাহাজ চার্টারিং সংক্রান্ত সরকারি বিধি বিধান প্রতিপালন  করছে না সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। গত ১৫ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পত্র দেয়া হয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু এর কোন উত্তর মেলেনি। এ পরিস্থিতিতে বিএসসি’র মাধ্যমে পরিবহন  নিশ্চিত করতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। তার জন্য প্রয়োজন বিএসসি’র মালিকানাধীন জাহাজের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় ( জি-টু-জি ) চুক্তিতে সার আমদানিতে প্রত্যেক লটের সাইজ ৩৫০০০ মেট্রিক টন নির্ধারণের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া দরকার বিএসসির নিজস্ব জাহাজে সরকারি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি ( ডিপিএম মেথড ) অনুসরণ করে ফিক্সড অপারেটিং কস্ট, বাংকার খরচ, বন্দর খরচ, ফ্রেইট ট্যাক্স, যুদ্ধ ঝুঁকি প্রিমিয়াম, প্রাসঙ্গিক অপারেশনাল খরচ এবং ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হিসাব করে প্রকৃত জাহাজ ভাড়া নির্ধারণ করে বিএসসি এবং ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করা।

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, আন্তঃ মন্ত্রণালয় চার্টারিং কমিটির গ্রাউন্ড রুল, সরকারি নির্দেশনা এবং পিপিআর ২০০৮ অনুসারে বিএসসি কর্তৃক দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাহাজ চার্টারিং কার্যক্রম সম্পাদন হওয়া আবশ্যক।

বিএসসি সূত্র জানায়, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিএসসি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু সংখ্যক জাহাজ ক্রয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকার ও বেসরকারী উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা ও অন্যান্য কাঁচামাল

পরিবহনের জন্য জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া গৃহস্থালি ও শিল্পের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য  সরকার কর্তৃক এলএনজি আমদানির যে কর্মসূচি তাতে সহায়তার জন্য এলএনজি ক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে।

 ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বিএসসি’র মুনাফা ছিল ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা । ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মোট আয় ছিল ২২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং মোট ব্যয় ছিল ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

নীট মুনাফা হয়েছে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। নতুন ৬টি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় নীট আয় বেড়েছে।