Home আন্তর্জাতিক বিক্ষোভ অসমে জুড়েও

বিক্ষোভ অসমে জুড়েও

বিক্ষোভে উত্তাল অসম

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পরেই অসমে বড় ধরনের অশান্তি শুরু হয়। রাজ্যের বঙ্গাইগাঁও জেলায় পাঠানো হয় সেনাবাহিনীর একটি কলাম। বিকালে শোনা যায়, অসমের ১০ টি জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা। মঙ্গলবার ত্রিপুরায় ওই দু’টি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এদিন অসমের ডিব্রুগড় জেলায় পাঠানো হয় পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। আপাতত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে মোট ৫ হাজার আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

অসমে এদিন দিসপুর, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় এবং জোরহাটে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কয়েকজন মহিলা সহ আহত হয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক ও টিভি চ্যানেলের কর্মীরাও আছেন।

বুধবার অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বন্‌ধ ডাকে অসমের সমস্ত ছাত্র সংগঠন এবং নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইএসএফ, আইসা-সহ একাধিক বামপন্থী ছাত্র সংগঠনও সামিল হয়েছে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিলে। গুয়াহাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় উঠেছে নাগরিকত্ব বিল বিরোধী স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুতুলও পোড়ায় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। ডিব্রুগড় জেলায় সিআইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বন্‌ধ সমর্থকদের। দুলিয়াজান জেলায় অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের অফিসে কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় দু’পক্ষের হাতাহাতিতে দু’জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে খবর।

পুরাকে নাগরিকত্ব বিলের আওতা থেকে বাইরে রাখার দাবিতে মঙ্গলবার আগরতলায় বিক্ষোভ দেখায় জনতা। ধলাই জেলায় একটি বাজারে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। অসম এবং ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য এখন ফুঁসছে। বুধবারও বনধের জেরে পরিস্থিতি বেসামাল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অসমের বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে বলে খবর।

অসমে বিজেপির সদর দফতর, অসম গণ পরিষদ, দুরদর্শন কেন্দ্র এবং অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রীর মালিকানায় থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসে সামনে ধর্নায় বসেন বিক্ষোভকারীরা। লাগাতার চলতে থাকে নাগরিকত্ব বিল বিরোধী স্লোগান। অসমের পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল-সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর কনভয়ের রুট পরিবর্তন করা হয়। উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, অবরোধের কারণে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।