পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ বিজিএমইএ একযোগে কাজ করবে।
বৃহষ্পতিবার ( ২৫ মার্চ ) চট্টগ্রামের বিজিএমইএ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পোশাক শিল্পের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সহিত ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এ এম. চৌধুরী সেলিম, পরিচালক মোহাম্মদ আতিক, প্রাক্তন পরিচালক এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা, পিপিএম এবং সহকারি পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, পিপিএম।
এসময় বক্তারা সকলেই জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান উল্লেখ করে এ’শিল্প রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, এ’শিল্প টিকবে কিনা অনেকই সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দুরদর্শী সিদ্ধান্তে এ’শিল্প ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে পেরেছে। যদিও করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে, তবুও এ’দেশের অবহেলিত নারী সমাজের ক্ষমতায়ন ও অর্থনীতির প্রাণ শক্তি এই শিল্পকে সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান, পিপিএম বলেন, গার্মেন্টস্ সেক্টরে শ্রমিক অসন্তেুাষ নিরসনসহ শিল্পাঞ্চলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যেই শিল্প পুলিশ গঠিত হয়েছে। তিনি শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক মনিটরিং এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে শিল্প পুলিশের তৎপরতা অব্যহত রাখা এবং গার্মেন্টস্ শিল্পের নিরাপত্তা রক্ষায় শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ শিল্পের ভাবমুর্তির সাথে দেশের ভাবমুর্তি জড়িত, তাই প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে শিল্প পুলিশ ব্যবসায়িদের সহিত একযোগ কাজ করবে মর্মে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী এবং শিল্প পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম সেলিমসহ শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।