Home First Lead টেক্সটাইল শিল্পে ১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতি

টেক্সটাইল শিল্পে ১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতি

প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে ১ ডলার ২৫ সেন্ট খরচ হলেও দিনের অর্ধেক সময় কারখানা বন্ধ থাকার কারণে তা বেড়ে আড়াই ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ভয়াবহ সংকটে টেক্সটাইল শিল্প। দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে।  এ অবস্থঅয় গত কয়েক মাসে ১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্যাস-সংকট অব্যাহত থাকলে রপ্তানি আরো কমবে।

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে ১ ডলার ২৫ সেন্ট খরচ হলেও দিনের অর্ধেক সময় কারখানা বন্ধ থাকার কারণে তা বেড়ে আড়াই ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। কাপড় রং করার ডাইং কারখানাগুলোও লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলেন, আগস্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, নরসিংদীর মাধবদী, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুরের শ্রীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বস্ত্রকলগুলো গ্যাস-সংকটের কারণে দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ৬০ শতাংশ বস্ত্রকল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। চাকরি হারাবেন শ্রমিকেরা। ব্যাংকও তাদের পুঁজি হারাবে।

তিনি বলেন, জ্বালানির সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিলে আজকে এ অবস্থা তৈরি হতো না। পেট্রোবাংলা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, অক্টোবরের শুরু থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। নভেম্বরে আরো ভালো থাকবে। ডিসেম্বরে কোনো সংকট থাকবে না। কিন্তু উন্নতি তো দূরে, অক্টোবরে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। তাদের শঙ্কা, আগামী দুই মাসে গ্যাসের সংকট আরো বাড়বে।

গ্যাস-সংকটে উৎপাদন এখন তলানীতে গিয়ে পৌঁছেছে। হুমকির মুখে পড়েছে ১ কোটি ৬০ হাজার ডলারের বিনিয়োগ। ১০ লাখ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। উৎপাদন করা না গেলে শ্রমিক ছাঁটায়ের শঙ্কাও তীব্র হবে। নিট পোশাকের ৮০ ভাগ কাঁচামালের যোগান দেয় স্থানীয় স্পিনিং শিল্প। গেল বছরেই এই খাত থেকে যোগান দেওয়া হয় ৭ বিলিয়ন মিটার কাপড়। যার আনুমানিক দাম ৮ বিলিয়ন ডলার। তাই এই শিল্পখাতকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে ১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্যাস-সংকট অব্যাহত থাকলে রপ্তানি আরো কমবে। যা ডলার-সংকট আরো বাড়িয়ে  দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, দেশের শিল্পকারখানাগুলো গ্যাসের চাপজনিত সংকটে ভুগছে। অব্যাহতভাবে চলতে থাকা এ সংকট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। গ্যাস-সংকটের এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ালে প্রয়োজনে বাড়তি অর্থ দেবে শিল্পমালিকরা।