Home আকাশপথ কক্সবাজারে বোয়িং ওঠানামা করবে ২০২৩ সালে

কক্সবাজারে বোয়িং ওঠানামা করবে ২০২৩ সালে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

কক্সবাজার: শিগগিরই শুরু হবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ। পর্যটকের সুবিধার্থে কক্সবাজারের বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়া হবে। বোয়িংয়ের মতো বড় বড় উড়োজাহাজ ওঠানামা করবে এই বিমানবন্দরে। রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান। বর্ধিত রানওয়ের আংশিক থাকবে পানির নিচে।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচকের সদর দপ্তরে বেবিচক কর্তৃপক্ষ ও চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো-চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিপত্রে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এবং চীনা প্রতিষ্ঠানটির অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইয়াং জিজুন স্বাক্ষর করেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেন। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। মার্চে গ্রাউন্ড ব্রেকিং উদ্বোধন আর আসছে ৩ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে নির্মাণকাজ শেষে রানওয়ে বড় বিমান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বড় বড় উড়োজাহাজ কক্সবাজার রুটে চলাচল করতে পারবে। দেশে প্রথমবাররে মতো সমুদ্রের ভেতরে ব্লক তৈরি করে রানওয়ে নির্মাণ করা হবে। সমুদ্রের তীর ঘেঁষে অত্যাধুনিক এজিএল পদ্ধতিতে রানওয়ে করা হবে, যেন অন্ধকারে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন অবতরণের দৃশ্য দেখা যায়।

বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৯ হাজার ফুট রানওয়ে আছে। এটিকে মহেশখালী চ্যানেলের দিকে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারিত করে মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুট করা হচ্ছে। বর্ধিত রানওয়ের এক হাজার ৩০০ ফুটই থাকবে সাগরের পানির নিচে।