বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২০১৪ সালে সিবিএ নেতা ছিলেন এমন ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই নথি আদালতে দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুদকার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর আদালত ৯ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
হাইকোর্টের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুদক ১৭ সিবিএ নেতা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে দুদক থেকে আদালতকে জানানো হয় যে, সিবিএ নেতারা দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তারা কি বলেছেন বা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কীনা সেবিষয়ে দুদক থেকে কিছু বলা হয়নি। এ প্রতিবেদন দেখার পর রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সংশ্লিষ্ট নথি আদালতে দাখিল করার আরজি জানান। এরপর আদালত শুনানি নিয়ে নথি তলবের আদেশ দেন।
যে সব সিবিএ নেতার বিষয়ে আদালত নথি তলব করেছেন তারা হলেন- মো. মসিকুর রহমান (সভাপতি), আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান (সাধারণ সম্পাদক), মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, আসমা খানম, আবুল কালাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজ।
অভিযুক্তরা ২০১৪ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিবিএ (বিমান শ্রমিক লীগ) নেতা ছিলেন। তাদের ২৬ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু ওইসব নেতা দুদকে হাজির হতে অস্বীকার করেন। কিন্তু দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এনিয়ে ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুদকের নোটিশে সাড়া দেয়নি বিমানের সিবিএ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এইচআরপিবি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। এ রিট আবেদনে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে দুদকের নিষ্ক্রয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের ওপর ২৮ জানুয়ারি শুনানিকালে দুদকের নেওয়া পদক্ষেপের তথ্য ২৫ ফেব্রুয়ারি জানাতে নির্দেশ দেন আদালত। এ অবস্থায় বুধবার নথি তলব করা হলো।