Home আন্তর্জাতিক বিমান থেকে পড়ে মৃতদের একজন আফগান ফুটবলার

বিমান থেকে পড়ে মৃতদের একজন আফগান ফুটবলার

জাকি আনোয়ারি। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

তালিবানের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিমানে আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে চাইছেন বহু মানুষ। সোমবার একটি মার্কিন বিমান থেকে পড়ে মারা যান তিনজন। বৃহস্পতিবার আফগান সংবাদ সংস্থা আরিয়ানা জানায়, তাঁদের একজন হলেন আফগান জাতীয় দলের ফুটবলার জাকি আনওয়ারি। তিনি ইউএসএএফ বোয়িং সি সেভেনটিন প্লেন থেকে পড়ে মারা যান।

সিএনএনের প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা ক্ল্যারিসা ওয়ার্ড বুধবার বলেন, “কাবুল বিমান বন্দরের কাছে বিরাট গোলমাল শুরু হয়েছে। দেশ থেকে বেরোনর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন অনেকে।” এক তালিবান যোদ্ধা ক্ল্যারিসাকে বলেছিল, আপনি মুখ ঢাকুন। না হলে আপনার সঙ্গে কথা বলব না। ওই যোদ্ধার হাতে ছিল একটা চেন আর তালা। একসময় সিএনএনের প্রোডিউসার ব্রেন্ট সোয়াইলসের দিকে পিস্তল হাতে তেড়ে এসেছিল দুই জঙ্গি। অপর এক তালিবান সেই দু’জনকে থামায়। সে বলে, সাংবাদিকদের মেরো না।

ক্ল্যারিসা বলেছেন, “পরিস্থিতি খুব ঘোরালো। যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে। কাবুলে আরও বেশি মানুষ হতাহত হতে পারত।”

বৃহস্পতিবার ছিল আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এদিন তালিবানের হুমকি অগ্রাহ্য করে কাবুলে তোলা হয় জাতীয় পতাকা। শহরের আবদুল হক স্কোয়ারে ওই পতাকা তুলে তালিবানের উদ্দেশে কাবুলের মানুষ একটি নির্দিষ্ট বার্তা চেয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। আবদুল হক ছিলেন মুজাহিদিন কম্যান্ডার। ২০০১ সালে তালিবান তাঁকে হত্যা করে। আবদুল হক স্কোয়ার থেকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়া যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল হক স্কোয়ারে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দিচ্ছেন দুই আফগান। অনেকে হাতে প্লাস্টিকের ছোট ছোট জাতীয় পতাকা নিয়ে জড়ো হয়েছেন। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলছে ধীরে।

তালিবান ক্ষমতা দখল করার পরে আফগানিস্তানের নানা প্রান্ত থেকে বিক্ষোভের খবর আসছে। এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আসাদাবাদ শহরে বিপুল সংখ্যক মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেন। অনেকে তালিবানের পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। জনতার ওপরে গুলি চালায় তালিবান। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, গুলিতে অনেকে হতাহত হয়েছেন। পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন অনেকে।

কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদের বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, এদিন সকাল থেকেই শত শত মানুষ পথে নামেন। তিনি প্রথমে মিছিলে যাননি। পরে দেখেন তাঁর এক প্রতিবেশী মিছিলে যোগ দিয়েছেন। তখন তিনিও রাস্তায় নামেন। তাঁর কথায়, “গুলিবিদ্ধ হয়ে ও হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে অনেকে হতাহত হয়েছেন।” এদিন জালালাবাদ ও খোস্ত শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।