গত কয়েকবছর ধরে বিরিয়ানির দোকান পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে উঠেছে। এই এই দোকানগুলিতে ৬০ টাকার থেকে ৩০০ টাকার বিরিয়ানি পাওয়া যায়।
বিরিয়ানিতে সাধারণত সরু চাল থাকে, আর তার সাথে চিকেন, মটন বা ডিম দিয়ে বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। বিরিয়ানি খাবারে মাংসের প্রোটিন, ভাতের প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ঘি-এর ফ্যাট থাকে। আমাদের কাছে মনে হয় যে বিরিয়ানিতে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট থাকার জন্য এটি একটি সুষম খাদ্য।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বিভিন্ন ছোট বড় হোটেলে বিরিয়ানির খাবার কে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যার ফলে বিরিয়ানির খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং অধিক মুনাফার জন্য এরা আরো আরো খারাপ খারাপ পদার্থ এর সঙ্গে মেশায় যার ফলে এই সুখাদ্যটি কুখাদ্যে পরিণত হয় –
▪হোটেলে বিরিয়ানিতে ঘি এর পরিবর্তে ডালডা বা বনস্পতি মেশায়। এই ডালটা বা বনস্পতি আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
▪বিরিয়ানিতে বিভিন্ন গন্ধ আনার জন্য কম দামের মিঠা আতর ব্যবহার করা হয় যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
▪বিরিয়ানি খাবারের রং হলুদ করার জন্য জাফরন মেশানোর কথা কিন্তু জাফরানের দাম অনেক বেশি হওয়ার জন্য কিছু অসাধু দোকানদার হলুদ রঙের কিশোরী রং ব্যবহার করে এই কিশোরী রং বা ম্যালাকাইট ইয়েলো হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যবহার এর জন্য,কাপড় বা দেওয়াল রং করার জন্য ব্যবহার করার কথা কিন্তু এটি খাবারের সাথে মিশিয়ে হলুদ রং করা হয়। এই কিশোরী রং(কামধেনু রং) দিয়ে রঙিন খাবার আপনার শরীরে লিভার ও কিডনির অসুখ, ক্যান্সার পর্যন্ত গড়াতে পারে।
▪দোকানে বিরিয়ানি যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন দোকানদাররা সেই খাবার পরের দিনে রাখার জন্য সোডিয়াম বেনজোয়েট নামে এক ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে রাখে ফলে ওই খাবার পরের দিনও একই রকম স্বাদ থাকে এবং খাবার নষ্ট হয় না কিন্তু এই সোডিয়াম বেনজোয়েট ও কারসিনোজেনিক যা আপনার ক্যান্সার ঘটাতে পারে।
এছাড়া বিরিয়ানিতে প্রচুর স্যালাড এবং দই দেওয়া হয় যা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো
বিরিয়ানি এটি সুখাদ্য হলেও অসাধু দোকানদারদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এটি একটি কুখাদ্যে পরিণত হয়। তাই যদি আপনার সত্যিই বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা হয় বাড়িতে সুন্দরভাবে বানিয়ে খান তাতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে, সুস্থও থাকবেন।