বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) গবেষণাকে অসত্য, মনগড়া এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
করোনা সংকটে পোশাক কারখানা বন্ধ ও লেঅফ এবং পোশাক শ্রমিকদের চাকরি হারানো নিয়ে বিলস গত বৃহস্পতিবার একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এর প্রেক্ষিতে শনিবার বিলসের গবেষণা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ ঐ দাবি জানায়।
গত বৃহস্পতিবার ‘কোভিড-১৯: তৈরি পোশাক শিল্পে শোভন কাজের পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিলস জানায়, করোনা সংকটে ১ হাজার ৯১৫ পোশাক কারখানা বন্ধ ও লেঅফ করা হয়েছে, এতে ৩ লাখ ২৪ হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে।
বিজিএমইএ জানায়, বিলসের অধিকাংশ তথ্য অসত্য ও মনগড়া এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনার মাধ্যমে অহেতুক আতঙ্ক তৈরির অপপ্রয়াস করা হয়েছে।
আরও জানায়, বিলসের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেক এই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ৩ লক্ষাধিক পোশাক শ্রমিকের চাকরিচ্যুতি ঘটতে পারে। তারা হারিয়েছেন বলে বলা হয়নি। আবার মূল প্রবন্ধের ১৫ নং স্লাইডে গত ৬ জুন তারিখে বিজিএমইএর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এপ্রিল/মে মাসে ৩৪৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে, যেখানে ৩২৪,৬৮৪ জন শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন বলে অনুমান করা হয়েছে। মূল প্রবন্ধের অনুমান নির্ভর তথ্য এবং সমীক্ষার ৫০% অংশগ্রহণকারীর মতামতকে একটি বাস্তবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত বলে মনে করে বিজিএমইএ।
বিজিএসইএ জানায়, বিলস সংবাদ সম্মেলনে বলেছে বন্ধ ও লেঅফ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯১৫টি কারখানা। তবে মূল প্রবন্ধের ১৫ নং স্লাইডে বলা হয়েছে, ১৯২৬টি কারখানা তাদের পূর্ণ সক্ষমতার অনেক কম সক্ষমতায় চলছে। অর্থাৎ এ সকল কারখানা চালু আছে। তাহলে ১৯১৫টি কারখানার হিসাবটি বক্তব্যে কীভাবে আসল। ৩৪৮টি কারখানায় যদি ৩২৪,৬৮৪ জন কর্মহীন হয়, তবে ১৯১৫টি কারখানা বন্ধ/ লে-অফ হলে এই চাকরিচ্যুতির সংখ্যা কয়েক গুন বেশি হওয়ার কথা ছিল, সেই হিসাবটি আনা হলো না কেন?
বিজিএমইএর হিসাব অনুযায়ী রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে চালু কারখানার সংখ্যা প্রায় ৩০০০টি, সেই হিসেবে ১৯১৫ কারখানা বন্ধ/লে-অফ হয়ে যাওয়া মানে আমাদের শিল্পের অর্ধেকেরও বেশি বন্ধ হয়ে যাওয়া।বিজিএমইএ কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী করোনার পর এ যাবৎ ৯০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং ২৩টি কারখানা কিছু শ্রমিক ছাঁটাই করেছে।
১১৩টি কারখানার মোট ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫১,৫০০ জন বলে বিজিএমইএ জানায়।