বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
অতিমানব! নাকি রোবট, কী ধাতুতে গড়া লিওনেল মেসি? কেউ হয়তো বলবেন, আরে মেসি তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষই, না হলে সব জিতেও বিশ্বকাপ জিততে পারেন না কেন দেশের হয়ে!
সব কথার জবাব আছে, এরও জবাব আছে। সবাই তো ফুটবলার, ক’জন সেরার পুরস্কার এই নিয়ে সাতবার পান? বিশ্বকাপ না জিতেও সাতবার সেরা, খেতাব জিতলে কোথায় শেষ করতেন?
ঈশ্বর সবাইকে সবটা দেন না, মেসিকে দেননি এখনও বিশ্বকাপ, কিন্তু তিনি উপুড় করেছেন শ্রেষ্ঠত্বের ঝাঁপি, সেখানে মেসি অনেক এগিয়ে, বাকিরা অনেকটাই পিছনে।
সপ্তমবারের মতো ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জয় আর্জেন্টাইন তারকার। প্যারিসের আলো ঝলমল থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটের অডিটোরিয়ামে ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার মেসি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে মেসি পেছনে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদস্কি ও রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমাকে। ২০১০ সালের পরে এই প্রথম লড়াইয়ে তিনের মধ্যে ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি শেষ করেছেন ছয় নম্বরে।
৩৪ বছর বয়সী মেসি বছরের শুরুতে বার্সেলোনার হয়ে ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন কোপা আমেরিকা শিরোপা। সেই আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও উঠেছিল তাঁর হাতেই।
নানা নাটকীয়তা শেষে মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন এরপর। নতুন ক্লাব পিএসজি’তে এরই মধ্যে নিজেকে মানিয়েও নিয়েছেন তিনি। মেসির হাত ধরেই প্রথমবারের মতো পিএসজি’র ঘরে এসেছে ব্যালন ডি’অর।
ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে থাকে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন। তারা প্রথমে ৩০জন ফুটবলারকে বাছাই করে পুরস্কারের জন্য। এরপর ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে ৩০ জন থেকে কমিয়ে তালিকা ছোট করে আনা হয় ৫ জনে। এরপর এই ৫ জনের মধ্য থেকে সেরা ফুটবলার বাছাই করা হয় ৫০ জন বিশেষ সাংবাদিকের ভোটে।
সেই কারণেই তো প্রথমবার প্যারিসের ক্লাবে সই করেই এমন কীর্তি স্থাপন করলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর রিমোর্ট কন্ট্রোলের পরে দেখা গিয়েছে, আলো ঝলমল আইফেল টাওয়ারে তাঁর কীর্তি ছায়া ফেলছে। যা দেখে তিনিও লজ্জিত, আর গর্বের হাসি হাসছেন স্ত্রী আন্তোনেলা কুইজো, আর তাঁর তিন সন্তান।
কথায় রয়েছে, সব সাফল্যজয়ী পুরুষের পিছনে থাকে একজন নারী, মেসিরও রয়েছেন আন্তোনেলা, তিনি মেসির পরশমণি।