Home আন্তর্জাতিক বেজোসকে টপকে যাচ্ছেন ইলোন মাস্ক

বেজোসকে টপকে যাচ্ছেন ইলোন মাস্ক

SpaceX CEO Elon Musk listens to US President Donald Trump speaks during a meeting with business leaders in the Roosevelt Room at the White House in Washington, DC, on January 23, 2017. / AFP / NICHOLAS KAMM (Photo credit should read NICHOLAS KAMM/AFP/Getty Images)

২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিশ্বের ধনীতমদের তালিকার শীর্ষে আছেন অ্যামাজন ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। নতুন বছরে তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন টেসলা ও স্পেস এক্স কোম্পানির কর্ণধার ইলোন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা ইলোন মাস্কের কোম্পানির শেয়ারের দাম বুধবার বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৮ শতাংশ। ফলে এখন জেফ বেজোসের থেকে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা কম। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের ধারণা, টেসলার কর্ণধারের সম্পত্তি শীঘ্রই আরও বৃদ্ধি পাবে।

মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৮১১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। গত এক বছরে মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১৫ হাজার কোটি ডলার। বিশ্বের ৫০০ ধনীতম ব্যক্তির মধ্যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে সবচেয়ে দ্রুত। ২০২০ সালে টেসলার শেয়ারের পরিমাণ ৭৪৩ শতাংশ বেড়েছে। টেসলা গত বছর তৈরি করেছে পাঁচ লক্ষের কিছু বেশি সংখ্যক গাড়ি। ফোর্ড মোটর কোম্পানি এবং জেনারেল মোটর কোম্পানি প্রতি বছর যে পরিমাণ গাড়ি তৈরি করে, টেসলা তৈরি করেছে তার ভগ্নাংশ মাত্র।

আমেরিকায় ডেমোক্র্যাটরা সম্ভবত জর্জিয়াতে দু’টি আসনই জিতবে। মার্কিন কংগ্রেস যদি পুরোপুরি ডেমোক্র্যাটদের দখলে আসে, তাহলে সুবিধা হবে টেসলার। কারণ ভোটের আগে ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে।

এর আগে জানা যায়, করোনা অতিমহামারীর মধ্যে জেফ বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে অভুতপূর্ব হারে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ২০ হাজার কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে তার পরিমাণ ১৫ লক্ষ কোটিরও বেশি। বিশ্বে এর আগে কেউ এত অর্থের মালিক হতে পারেননি। গত অগাস্ট মাসে অ্যামাজন ডট কম ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে জেফ বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ।

জেফ বেজোসের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কটের সম্পত্তি। ৫০ বছরের ম্যাকেনজি এখন বিশ্বের ধনীতম মহিলাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। প্রথম স্থানে আছেন লরিয়েল এস এ-র উত্তরাধিকারিণী ফ্র্যাঙ্কোইস বিটেনকট মেয়ারস।

করোনা অতিমহামারীর ফলে প্রায় থমকে গিয়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতেও ধনীতম ব্যক্তিদের সম্পদ বাড়ছে বিপুল হারে। ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্বের সেরা ৫০০ জন ধনীর সম্পদ বেড়েছে ৮০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৬০ লক্ষ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধির পরিমাণ ১৪ শতাংশ।

অতিমহামারীর ফলে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারাচ্ছেন, তখন ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকে। মার্কিন সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স দাবি করেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে অতি ধনীদের ওপরে বাড়তি কর বসানো হোক।

-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক