বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েই বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট হলো এশিয়ায়। এতে যোগ দিয়েছে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৫টি দেশ।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের ফাঁকে সই হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি) চুক্তি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় আঘাত এবং চীনের অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি আরও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রায় আট বছর আগে শুরু হয়েছিল আরসিইপি জোট গঠনের আলোচনা। শুরুর দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আগ্রহে যুক্তরাষ্ট্রও ছিল এর সঙ্গে। তবে ২০১৭ সালে এটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন তার উত্তরসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওবামার নেতৃত্বে হওয়া ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপও (টিপিপি) তার কারণে একপ্রচার অচল।
এ দু’টি জোট থেকে দূরে সরে যাওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে। তবে লাভ হচ্ছে চীনের।
অর্থনৈতিক সেবা বিষয়ক সংস্থা আইএনজির বৃহত্তর চীন অঞ্চলের শীর্ষ অর্থনীতিবদ আইরিস প্যাং বলেন, বিদেশি বাজার ও প্রযুক্তির ওপর চীনের নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে আরসিইপি।
এই জোটের সদস্য হিসেবে যুক্ত হচ্ছে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ- ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, লাওস, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই। এর সঙ্গে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
মুক্তবাণিজ্যের প্রসারে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিভিন্ন খাতের শুল্ক কমাবে জোটভুক্ত দেশগুলো।
রোববার আসিয়ান নেতাদের একটি অনলাইন সম্মেলনের ফাঁকে সই হবে বহুল প্রত্যাশিত আরসিইপি চুক্তি।
বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ থাকবে এই জোটের অধীনে। প্রায় ২২০ কোটি ভোক্তার বাজারও থাকবে আরসিইপির দখলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দেয়া ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতাচ্যুত হলেও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের খুব শিগগিরই এদিকে নজর দেয়ার সম্ভাবনা নেই। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পর প্রথম বছরে তিনি করোনা সংকট মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সামলাতেই ব্যস্ত থাকবেন।
গত বছরের নভেম্বরে আরসিইপি আলোচনা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ভারতও। যদিও আসিয়ান নেতারা বলেছেন, দেশটির জন্য তাদের দরজা সবসময় খোলা।
– রয়টার্স, ডয়চে ভেলে