Home First Lead বিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ২৫ লাখ

বিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ২৫ লাখ

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি খারাপ রূপ নিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি।

 

২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৭৩ জন।

করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৬৪ হাজার ১১৬ জনে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৩ জন।

নতুন করে ফ্রান্সে ২ লাখ ৬১ হাজার, ইতালিতে ২ লাখ ১৯ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৭৯ হাজার এবং ভারত ও আর্জেন্টিনায় ১ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে যেভাবে ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ, সঙ্গে যেভাবে বাড়ছে মৃত্যু, একে আর ‘মৃদু’ বলার কোনও অবকাশ নেই বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু। হু-প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হচ্ছে। বহু দেশে আগের ডেল্টা স্ট্রেনও এখনও রয়ে গেছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালগুলি সেই উপচেই পড়ছে।

ঘেব্রেইসাসের কথায়, “ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের বাড়াবাড়ি কম হচ্ছে, বিশেষ করে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের। কিন্তু তার মানে এই নয়, ওমিক্রন একটা মৃদু ব্যাপার। আগের স্ট্রেনের মতোই ওমিক্রনেও মানুষকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে, মানুষ মারাও যাচ্ছে। বরং ওমিক্রনের সুনামি এত বড়মাপের এবং এটি এত দ্রুত বাড়ছে, যে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ডেল্টার চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক হলেও, ওমিক্রন হয়তো ততটা ভয়ঙ্কর নয়। যদিও এটা গবেষণালব্ধ বা প্রমাণিত তথ্য নয়, কিন্তু পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। তা হলে উদ্বেগটা ঠিক কীসের?

ঘেব্রেইসাস মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে বিশ্বে সংক্রমণ বেড়েছে ৭১ শতাংশ বেশি। প্রায় কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বড়দিন-নিউ ইয়ারের এই উইকে টেস্ট অনেক কম হয়েছে। এছাড়াও অনেকে বাড়িতে নিজে টেস্ট করে পজিটিভ হয়েছেন, যে সংখ্যা এতে নথিভুক্ত নেই। ফলে আসল ছবিটা আরও বেশি ভয়াবহ।

এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নিয়ে আরও একবার সচেতন করলেন ঘেব্রেইসাস। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, সমস্ত দেশে ভ্যাকসিনের সংবণ্টন এখনও সম্ভব হয়নি। যত বেশি সংখ্যক মানুষ টিকা পাবেন, তত দ্রুত পিছু হঠবে করোনা। এদিন তিনি আবারও বলেন, “অল্প সংখ্যক মানুষ যদি একের পর এক বুস্টার ডোজ পান টিকার, এবং কোটি কোটি মানুষ টিকা না পান, তাহলে তা একটা অসুরক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করবে। প্যানডেমিকের ছুটি হবে না এভাবে।”

শুধু তাই নয়, ওমিক্রনকেই শেষ বলে ধরে নেওয়ারও কোনও কারণ নেই। আরও বিপজ্জনক কোনও নতুন স্ট্রেন আসতেই পারে আগামী দিনে। ওমিক্রন যত ছড়াবে, তার মিউটেশনও ততই হবে। তত সম্ভাবনা বাড়বে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার। তা শক্তিশালী হতেই পারে আরও।

ইতিমধ্যেই ফ্রান্সে খোঁজ মিলেছে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট আইএইচইউ-এর। তবে এখনও এটির বিপদ সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। ফলে সাবধানতাই এখন একমাত্র পথ। ভাইরাস যত ছড়াবে, ততই প্রশস্ত হবে বিপদের পথ। এছাড়া শিশু, বয়স্ক, কোমর্বিডদের আলাদা করে সচেতন থাকতেই হবে। যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি, তাদেরও দ্রুত ভ্যাকসিন দিতে হবে।