Home First Lead বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩

বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩

বিস্ফোরণের পর বিএম ডিপো

৪ শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে ৪০-৫০ জনের অবস্থা গুরুতর

রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বিস্ফোরণে আশপাশের ঘরবাড়ি ও মসজিদের কাচের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। এমনকি শিশুরাও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁদে ওঠে।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে  বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার দিবাগত রাতের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩। শনিবার রাতে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। রাত থেকে আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একে একে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হয়েছে।

ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০৯ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে ১০৯ জনকে ভর্তি করা হয়। তাছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীও রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ ঘটনায়  ৪ শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে ৪০-৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকেরই অবস্থা সংকটাপন্ন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে (সাবেক কাশেম জুট মিল) লোডিং পয়ন্টের ভেতরে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুলিশের সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শ্রমিকসহ ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শ্রমিকসহ ৪০-৫০ জনের বেশি মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম ও ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২টি টিম এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বিস্ফোরণে আশপাশের ঘরবাড়ি ও মসজিদের কাচের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। এমনকি শিশুরাও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁদে ওঠে।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল  বলেন, ওই কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক পদার্থ ছিলো। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেখান থেকেই এই বিষ্ফোরণ ঘটেছে।

পা বিচ্ছিন্ন পুলিশ সদস্য

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক  বলেন, ‘বিস্ফোরণে থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া থানার আরও অন্তত পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।’

মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম বলেন, ‘হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।’