বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
বিয়ানীবাজার ( সিলেট):বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৫ জুন । তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তোড়জোড় শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবাসী মেয়র প্রার্থীরা প্রচারণায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। তাদের বেশির ভাগ নৌকা পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন।
জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার পৌরসভা ২০০১ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হলে নির্বাচন হয়েছে ২০১৭ সালে। প্রথম পৌর নির্বাচন নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে অন্যরকম উচ্ছ্বাস ছিল। পাঁচ বছর পর দ্বিতীয় পৌর নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি শঙ্কা ও নানা সমীকরণ নিয়ে ভাবনায় পৌর নাগরিকরা। এবার নির্বাচনে আঞ্চলিক প্রার্থীদের প্রভাব নির্বাচনের ভোটকে প্রভাবিত করবে।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে যতটা তৎপর তার চেয়ে বেশি তৎপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। প্রার্থীর পক্ষে তাদের কর্মী সমর্থকরা রঙ্গিন পোস্টার আপলোড করে ফেসবুক জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর আবার নির্বাচন করবেন সেরকম আভাস এরই মধ্যে দিয়েছেন। যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে এসে গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে দলীয় প্রতীক নৌকা চাইবেন। তার সাথে নির্বাচনে (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক জিএস যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফারুকুল হক, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়া, বিয়ানীবাজার সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র) মাশুক আহমদ, বিয়ানীবাজার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কানাডা প্রবাসী আহবাব হোসেন সাজু, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী (স্বতন্ত্র) আব্দুস সবুর, প্রভাষক আব্দুস সামাদ (স্বতন্ত্র)।
সম্ভাব্য দশ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন প্রবাসী রয়েছেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়াদের মধ্যে প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হতে জোর লবিং চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক জিএস, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুকুল হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হাসিব মনিয়া, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহবাব হোসেন সাজু। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীসহ ৯ ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের সবাই রমজান মাসের শেষ সময়ে ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
পৌর এলাকার বাসিন্দা শমসের আলমের বলেন, বিগত ৫বছর আমরা লক্ষ্য করেছি মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌর কর বৃদ্ধি করে সাধারণ নাগরিকের উপর করের বুঝা বাড়িয়েছেন কিন্তু সাধারণ নাগরিক কাঙ্ক্ষিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নাগরিকদের প্রত্যাশা একজন নাগরিক বান্ধব, নগর উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ, সাধারণ মানুষ যেখানে তাদের অধিকারের কথা বলতে পারবে এবং যার মাধ্যমে নাগরিক সুবিধাগুলো বাস্তবায়ন হবে এমন ব্যক্তি নগর পিতার আসনে অধিষ্ঠিত হোক।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্বাচনের এ তারিখ জানানো হয়েছে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে। মনোনয়ন বাছাই ১৯ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে।