Home First Lead প্রথম ধাপে চূড়ান্ত তালিকায় প্রায় দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধা

প্রথম ধাপে চূড়ান্ত তালিকায় প্রায় দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধা

ছবি: সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম দফায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে উভয় তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

  • মন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ৪৩৪টি উপজেলার প্রতিবেদন পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে আগামী ৩০ জুনের (২০২১) মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ পাবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস তাদের স্থানীয় দোসর জামায়াতে ইসলামি, মুসলিম লীগ, রাজাকার, আল বদর, আলশামস ও শান্তি বাহিনীর সহায়তায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা এবং দুই লাখ মা-বোনের সন্ত্রমহানি করে। বীর বাঙালির হাতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করে এ দেশের সূর্যসন্তান, জাতির মেরুদণ্ড বুদ্ধিজীবীদের।

তিনি বলেন, আমরা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাদের কোনো তালিকা করতে পারিনি। বিলম্বে হলেও আমরা সেই তালিকা করা শুরু করেছি। দেশের প্রখ্যাত গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে কমিটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে। প্রথম ধাপে আমরা ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছি। যাচাই- বাছাই শেষে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুল হক ভূঁঞা। কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে রয়েছেন উপসচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত।

কমিটিতে গবেষক সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি চৌধুরী শহীদ কাদের, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ এবং গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের গবেষক গাজী সালাউদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ জহির (বীরপ্রতীক)।