সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী থেকে: রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের নিরীহ বাসিন্দা আবদুর রহমানের বাম হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, প্রতিদিনের মত আবদুর রহমান কাদির মোল্লা গার্মেন্টসে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন। এমন সময় প্রতিবেশী সোরাফ এবং মজনু তাদের বাহিনী নিয়ে অসহায় আবদুর রহমান এর উপর অস্ত্রসহ ঝাপিয়ে পড়ে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সোরাফ ও মজনু তার বাহিনী নিয়ে আবদুর রহমানকে মাটিতে ফেলে বুকের উপর পা রেখে চাপ দিয়ে হাতের কব্জি নির্মম ভাবে কেটে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেশী শাহিনুর আক্তার জানান, সোরাফ এবং মজনু মিয়াদের সাথে আবদুর রহমানের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে কেন্দ্র করে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছিল। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে আবদুর রহমানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় নরসিংদী সদর হাসাপাতালে। পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রহমান বলেন, সন্ত্রাসী সোরাফ এবং মজনু চাপাতি দিয়ে নির্মম ভাবে আমার বুকের উপর পা রেখে আমার হাতের কব্জি কেঁটে নিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাচ্ছি এবং নরসিংদীর পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার বিস্তার বা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।