বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দাম নিয়ে টানাপোড়নের জেরে বুড়িমারী দিয়ে ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ওপারের রপ্তানিকারকদের পাথরবোঝাই বিপুল সংখ্যক ট্রাক সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
গত মাসে পাথরের ডলার মূল্য কমাতে ভারত ও ভুটানের রপ্তানিকারকদের চিঠি দিয়েছিল বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। ব্যাংকের সুদ বৃদ্ধি, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাজার মূল্যের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে ভারত ও ভুটানের পাথর রপ্তানিকারকদেরকে পাথরের মূল্য পুনঃনির্ধারণে ৪ জানুয়ারি চিঠি দেয় বুড়িমারী আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু ওপারের ব্যবসায়ীরা কোন উত্তর দেয়নি চিঠির।
১৯ জানুয়ারি অ্যাসোসিয়েশন সভা করে। সভায় ভুটান থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিক টন ১৫ ডলার ও সামসি স্টোন ১৪ ডলারে এবং ভারত থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিক টন ১০ ডলারে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে পাঠাতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় বুড়িমারী আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া না হলে ১ ফেব্রুয়ারি হতে আমদানি বন্ধ রাখার কথাও ওই দুই দেশের রপ্তানিকারকদেরকে জানানো হয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, আমরা সকল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন মিটিং করে স্টোন বোল্ডার, ক্রাশ স্টোন এবং ভুটানি বোল্ডার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এ রেটে যদি তারা বোল্ডার না দেয় তাহলে আমদানি বন্ধ থাকবে।
পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ভুটান কেবল সাত গাড়ি কমলালেবু ও তিন গাড়ি ফলের রস বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে। পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন এপারের বুড়িমারী এবং ওপারে চ্যাংরাবান্ধার ট্রাক চালকরা। সেই সঙ্গে খদ্দেরের অভাবে বিপাকে হোটেল, রেস্টুরেন্ট মালিকরা
১৯৮৮ সালে বুড়িমারী স্থলবন্দর চালু হলেও এটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০১০ সালে। বর্তমানে স্থলবন্দরটি ১১ একর ১৫ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ত্রিদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ রুটে পরিণত হয়েছে এ বন্দরটি। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক ভারত ও ভুটান থেকে কয়লা,পাথর, ফলমূল, গম, ভুট্টা আমদানি পণ্য নিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসে।