পঞ্চাশ কেজি ওজনের ভালো মানের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম মিল গেটে ২৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চালের দাম ২১৫০-২২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের এই দাম নির্ধারণ করে দেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে এই দাম কার্যকর হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ১০ দিনের মধ্যে সরু চাল আমদানি করা হবে৷ একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ দিন আগের দামে ফিরে আসতে হবে। পাইকারি বাজারে ৫১ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে মিনিকেট চাল সর্বোচ্চ ২৫৭৫ টাকা বস্তা। আর আটাশ বা মাঝারি মানের চাল প্রতি বস্তা ২১৫০ থেকে ২২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মোটা চাল পর্যাপ্ত মজুত আছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন মোটা চাল খায় না। যারা খায় তাদের জন্য ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে দিচ্ছি। আড়তদার ও খুচরা বাজারের দামটা কৃষি বিপণন ও ভোক্তা অধিকার নির্ধারণ করে দেবে। প্রতিদিন তারা সকালে এটা নির্ধারণ করে থাকে।
বৈঠকে চাল ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীকে মোটা চালের উৎপাদন কমে যাওয়া, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়া এবং বন্যা ও মহামারির কারণে বিপুল পরিমাণ মোটা চাল রিলিফ দেওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, র্যাব, ভোক্তা অধিদপ্তর, এনএসআই অভিযানে গেলে আপনাদের মানসম্মান নষ্ট হয়। কিন্তু নওগাঁয় যারা চাল স্টক করে রেখেছিল, তারা ডিসির সঙ্গে বসে বলেছেন, এসব ধান বাজারে ছাড়ার ব্যবস্থা করছি অভিযান বন্ধ রাখুন। ধান তো মজুদ আছে, এই ধান বের করতে হবে। বাজার বাড়ানো যাবে না।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মুঈদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ সভায় বক্তব্য দেন।