বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ঈদের আগে ব্যাংকসমূহের গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। টাকা জমা দেয়ার চেয়ে উত্তোলনের চাপই বেশি।
ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার থেকে টানা ৬দিনের ছুটি। তাই নগদ টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে ছিল গ্রাহকদের প্রচণ্ড ভিড়। উত্তোলনের চাপে গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খান ব্যাংক কর্মকর্তারা। এটিএম বুথেও ছিল লম্বা লাইন।
ঈদের সময় নগদ টাকার বেশি চাহিদা হয়। এ সময় মানুষ ব্যাংকে টাকা না রেখে খরচের জন্য তুলে নিয়ে যায়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকও এ সময় বাজারে টাকার সার্কুলেশন কিছুটা বাড়িয়ে রাখে। তবে সব ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনা একই রকম না হওয়ায় হঠাৎ টাকা তোলার প্রবণতা বাড়লে তারা সংকটে পড়ে যায়।
নগদ টাকার চাহিদার পাশাপাশি নতুন টাকায় গ্রাহকের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তাদের ব্যস্ত সময় পার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ কর্ম দিন। এ জন্য লেনদেনের শুরু থেকেই কাউন্টারের সামনে গ্রাহকের ভিড়। স্বাভাবিকের তুলনায় লেনদেন প্রায় তিন-চার গুণ বেড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নগদ টাকা তোলার চাপ। লোকজন ঈদে বাড়ি যাচ্ছে, সে কারণেই নগদের ওপর চাপ বেড়েছে। ঈদের আগে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে বোনাস দিতে হয়। মাস শেষ হওয়ার আগেই অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়।
এনআরবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদ বলেছেন, সকাল থেকে অনেক গ্রাহক নতুন টাকার জন্য লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু ১০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা বেশি হওয়ায় অনেককে দেয়া সম্ভব হয়নি।