বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
বেনাপোল ( যশোর): বেনাপোল স্থল বন্দরে টার্মিনালে আগুন লেগে ব্লিচিং পাউডার ভর্তি ছয়টি ভারতীয় ট্রাক পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্ট মুক্তা ট্রেডিং এর সত্বাধিকারী আব্দুল মুন্নাফ বলেন, খামখেয়ালীপনা ও অব্যবস্থার কারণে এ রকম অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। যেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেই স্থানটি একটি টার্মিনাল। এখানে ভারতীয় গাড়ি রাখা হয় বলে নাম হয়েছে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল। টার্মিনালের মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত অন্যান্য পণ্য। যা রাখার কথা নয়। আবার এসব দাহ্যপণ্য ফাঁকা জায়গায় রাখার কথা থাকলেও তারা এই টার্মিনালের মধ্যে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের একটি নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস টিম রয়েছে। তারা অগ্নি নির্বাপকের কোন কাজ করেনি।
তৌহিদুজ্জামান নামে একজন সিএন্ডএফ কর্মচারী বলেন, যতবার এই বন্দরে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ততবারই ছুটির দিনে। আজও ছুটির দিন। এছাড়া এসব দাহ্য পদার্থ কেন এই টার্মিনালে রাখা হয়েছে তা তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
স্থানীয় একাধিক সিএন্ডএফ কর্মচারীরা বলেন, ভারতীয় যেসব ট্রাকে এ জাতীয় পণ্য আসে তা একদিনের মধ্যে বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যাওয়ার কথা। তারপরও ওই ট্রাকগুলো প্রায় ১৫ দিন এই টার্মিনালের মধ্যে অবস্থান করছে। ট্রাকের চালক ও সহকারীরা ট্রাকের মধ্যে বসে ধুমপান করে। ট্রাকের নীচে রান্নার কাজ করে। সেখানে থেকে আগুন লাগতে পারে।
ফায়ার কর্মী রইজ উদ্দিন বলেন, কিভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তা এখন বলা সম্ভব না। এটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যেতে পারে। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বলেন, এগুলো দাহ্য পদার্থ। এতে পানি লাগলে আগুন ধরে যায়। তবে বৃষ্টি হয়নি। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এ রকম অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হতেও পারে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্থলবন্দরে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপকের কাজ করেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, কিভাবে এই দাহ্য পদার্থে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করা হবে। তবে এগুলো যেহেতু দাহ্য পদার্থ অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণেও আগুন লাগতে পারে।
