বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গল উপজেলার ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ বিদ্যালয়’ এর ব্যানারে ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী হাতেকলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার ( ১৯ জুন) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউপির ৫৫ জন ক্ষুদ্র চা চাষি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাস্তবয়াওনাধীন ‘এক্সটেনশন অব স্মল হোল্ডিং টি কাল্টিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এসব ক্ষুদ্র চাষি।
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আমির হোসেন ও সহকারী খামার তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েদুল হক প্রমুখ।
দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠানে তারা চায়ের জাত নির্বাচন, চারা রোপন, প্লাকিং, টিপিং, প্রুনিং, সার প্রয়োগ, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন,সঠিক পরিচর্যা বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা করেন ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণে কৃষকের দোরগোড়ায় হাতের মুঠোয় সহজে সেবা ও উপকার পেতে চাষিদের ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ মোবাইল অ্যাপসের ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়।
কর্মশালার উত্তরাঞ্চলের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষ্যের পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান সঠিক উপায়ে উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান শেষে চা চাষিদের মূল্যায়নের অংশ হিসেবে উৎসাহ যোগাতে সেরা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে মোঃ সদর আলীকে নির্বাচন করা হয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তিনি পরবর্তীতে ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ বিদ্যালয়’ এর প্রশিক্ষক হিসেবে অন্য ক্ষুদ্র চা চাষিদের প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করবেন।
প্রসঙ্গতঃ গত বছরের ২০ অক্টোবর হতে ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ বিদ্যালয়’ মডেল মাঠ পর্যায়ে ইউপি ভিত্তিক এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র পর্যায়ের চাষিরা সঠিক উপায়ে চায়ের পাতা নির্ধারন, সঠিক সার প্রয়োগ ও পোকামাকড়-রোগাবালাই দমনে সক্ষম হবে ও তাঁদের জ্ঞানের ভান্ডার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভিন্নধর্মী ছাদ ও দেয়াল বিহীন ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ বিদ্যালয়ের কর্মসুচির আওতায় উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় এ পর্যন্ত ৪০টি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।