Home আকাশপথ বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর যত দুর্ঘটনা

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর যত দুর্ঘটনা

ফাইল ছবি

 

 কেবল আজ বুধবার সকালে তেহরানের দুর্ঘটনা নয়, গত দেড় বছরে একাধিক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সিরিজের বিমান।

আজ সাত সকালে বিমানকর্মী-সহ মোট ১৭৬ জন যাত্রীকে নিয়ে তেহরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৫২। গত সাড়ে তিন বছর ধরে যাত্রী পরিবহণের জন্য এই বিমানটি ব্যবহার করছিল ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্স। দুর্ঘটনার কারণ যান্ত্রিক ত্রুটি বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার কয়েক মাস আগেই ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ম্যাক্স বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিমান কর্মী ও যাত্রী মিলিয়ে মোট ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়।

দু’টি ইঞ্জিন বিশিষ্ট মাঝারি দূরত্বের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সিরিজের বিমান চালু হয় ১৯৯০ সালের শেষ থেকে। বিশ্বের বহু দেশের বিমান সংস্থাই এই বোয়িং ব্যবহার করে। বোয়িং ৭৩৭ বিমানের উন্নত সংস্করণ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স।

বোয়িং-এর ইতিহাসে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমানই সবচেয়ে বেশি বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। বোয়িং এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল,  ৭৩৭ ম্যাক্সের উড়ান সবচেয়ে নিরাপদ। কিন্তু ১৫৭ যাত্রী নিয়ে ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের ভেঙে পড়া এবং তারও কয়েক মাস আগে ইন্দোনেশিয়ায় একই ভাবে টেক অফের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অন্য একটি ৭৩৭ ম্যাক্স ভেঙে পড়ার ঘটনা বোয়িং বিমানে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তুলে দেয়। চিনের সিসিসিএ সমস্ত বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় তাদের বিমান সংস্থাগুলোকে।

দুর্ঘটনার রেকর্ড আরও রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্চে দুবাই থেকে রাশিয়ার রোস্তভ অন ডন বিমান বন্দরে নামার সময় ভেঙে পড়ে ফ্লাইদুবাই ৭৩৭-৮০০। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৬২ জন। দুবাই থেকেই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আরও একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সিরিজের বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ২০১০ সালে। ম্যাঙ্গালোরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে বিমানটি। যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে মৃত্যু হয় ১৫০ জনের।

২০১৮ সালে কিউবার হাভানায় বোয়িং ৭৩৭ বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় শতাধিক যাত্রী ও বিমানকর্মীর।

বোয়িং বিমানের সবচেয়ে ভয়ঙ্করতম দুর্ঘটনার রেকর্ড আছে ইন্দোনেশিয়ায়।

ইরানেও বোয়িং দুর্ঘটনা ঘটেছে অনেক। গত বছর খারাপ আবহাওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বোয়িং ৭০৭ ভেঙে পড়েছিল ইরানে।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক