বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, বগুড়া: শিবগঞ্জ উপজেলায় বিস্তীর্ণ এলাকার আলুক্ষেত ব্যাকটেরিয়াল উইল্ড আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এতে ফলন মার খাওয়ার আশংকায় দিশেহারা কৃষকরা।
কৃষকরা জানান যে মাসখানেক হলো তারা আলু বপন করেছেন। আলুর গাছগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো ফলন ভালো হবে। কিন্তু আলুগাছ মাঝে মাঝে নেতিয়ে পড়েছে। ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, মেদিনীপুর গ্রামের এক আলুচাষি আরিফুল ইসলামের জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটাচ্ছেন। ঠিক কী কারণে আলুগাছ মরে যাচ্ছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, এ রোগের কারণে আলুগাছ মরে যাচ্ছে। এমনিতেই এবার আলুর দাম কম, কী হবে আমাদের ভাগ্যে বুঝতে পারছি না।
মেদিনীপাড়া এলাকার আলুচাষি মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি চার বিঘা জমিতে স্টিক জাতের আলুর চাষ করেছি। জমির মাঝে মাঝে আলুগাছ নেতিয়ে পড়ে মরে যাচ্ছে। এমন রোগ এর আগে কখনও আলুক্ষেতে দেখিনি। দিন দিন বাড়ছে এ রোগের প্রকোপ। আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যাকটেরিয়াল উইল্ড একটি মাটিবাহিত রোগ। এ রোগের জীবাণু শিকড়ের ক্ষতস্থান দিয়ে গাছে প্রবেশ করে এবং পানি-পরিবহন নালীর মধ্যে বংশ বিস্তার করে নালী পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে পাতা ও গাছ সবুজ অবস্থায় নেতিয়ে পড়ে। এভাবে কয়েক দিনের মধ্যে সবুজ অবস্থাতেই গাছটি মরে যায়। এ রোগাক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে ধ্বংস করতে হবে। তিনি বলেন, আলুচাষিদের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শিবগঞ্জে এবার ১৮ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১৯ হাজার চারশ’ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৬শ’ ২০ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে। এতে গড় ফলন হয়েছে ১৬ মেট্রিকটন। গত বছর আলু উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভ বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা এবছর বেশি জমিতে আলুর চাষ করেছেন।