কি মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। চট্টগ্রামে শিপব্রেকিং শিল্পের শ্রমিক মুসলিম মিয়া (৫২)। গত বৃহস্পতিবার ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার কুলখানি শেষ করে ফেরার পথে পাঁচদিনের মাথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেলেন স্ত্রী জাহিদা খাতুন (৪৫)। ছেলে ইমন (১৭) এবং মেয়ে সুরাইয়ার (১৯) পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দেহ থেকে। অপর মেয়ে মীম (৮) এবং মুসলিম মিয়ার বৃদ্ধা শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনও গুরুতর আহত হয়েছেন।
মুসলিম মিয়া সপরিবারে থাকতেনচট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে। বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রামনগরে। গত বৃহস্পতিবার তিনি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় নিহত হন। কুলখানিশেষে সবাই গ্রামের বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন উদয়ন এক্সপ্রেসে। এসব তথ্য জানিয়ে মুসলিম মিয়ার বোন হাসিনা বলেন, ইমন ও সুরাইয়াকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুসলিম মিয়ার শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুন ও মেয়ে সুমি এবং মিমকে ভর্তি করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। অপর এক ছেলে সুমন একই ট্রেনে ছিলেন অন্য বগিতে। সে সুস্থ আছে।