Home Second Lead ব্রিটেনে আজ থেকে ফাইজারের টিকা

ব্রিটেনে আজ থেকে ফাইজারের টিকা

  • ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ, ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে ব্রিটেনই প্রথম জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরু করে দিল। আজ মঙ্গলবার ( ৮ ডিসেম্বর ) থেকেই দেশের ৫০টি ক্লিনিকে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।

ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ, ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা রোগীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকাদের আগে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

আমেরিকায় এখনও টিকা দিতে শুরু করেনি ফাইজার-বায়োএনটেক। তার আগেই জরুরি ভিত্তিতে ব্রিটেনে টিকাকরণের ছাড়পত্র পেয়ে গেছে ফাইজার। সংস্থার সিইও অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আট লক্ষ টিকার ডোজ পৌঁছে গেছে ব্রিটেনে। সামনের সপ্তাহের মধ্যে আরও ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে। নিরাপদে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করে ফেলেছে ব্রিটেন।

Britain to Be First Country to Use Pfizer COVID Vaccine | Voice of America - English

ব্রিটেনে এখনও অবধি করোনা আক্রান্ত ১৭ লাখের বেশি। সংক্রমণে মৃত্যু প্রায় ৬১ হাজার। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বরিস জনসন সরকার। ব্রিটেনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা এখনও তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে। তারপর অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার ডোজ নিয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে। সেদিক থেকে টিকার দৌড়ে এগিয়ে গেছে ফাইজার। জানা গেছে, ফাইজারের টিকা কেনার উদ্যোগ-আয়োজন শুরু হয়েছিল সেই ২০ নভেম্বর থেকে। ব্রিটেনের মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডোক্টস রেগুলেটরি কমিটি (এমএইচআরএ)-র সঙ্গে চুক্তি হয় ফাইজার-বায়োএনটেকের। সূত্রের খবর, ফাইজারের টিকার ৪ কোটি ডোজ কিনেছে ব্রিটেন সরকার। ফাইজারের টিকা যেহেতু খুব ঠান্ডায় সংরক্ষণ করতে হয় তাই সেই মতো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) তত্ত্বাবধানে টিকা দেওয়া হবে সারা দেশে।

জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন বানিয়েছে ফাইজার। মোডার্নার মতোই বার্তাবহ আরএনএ বা মেসেঞ্জার আরএনএ সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকা তৈরি করা হয়েছে। আরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের নাম BNT162। এই ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়। অর্থাৎ টিকা শরীরে ঢুকলে করোনার স্পাইক প্রোটিনের নকল করবে। তখন দেহের ইমিউন কোষগুলি যথা বি-লিম্ফোসাইট কোষ ও টি-কোষ এর প্রতিরোধে সুরক্ষা কবচ তৈরি করবে। বি-কোষ বিভাজিত হয়ে প্লাজমা বা রক্তরসে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে এবং ঘাতক টি-কোষ সক্রিয় হয়ে সংক্রামিত কোষ সমেত ভাইরাসকে নির্মূল করবে।  এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন জার্মানির বায়োএনটেকের অধ্যাপক উগার সাহিন। তিনি বলেছেন, এই টিকার প্রভাবে শরীরে অ্যাডপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি হবে তা টিকে থাকবে বহুদিন।