ব্লাস্ট রোগে ধান চিটা, স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত
নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম :ভূরুঙ্গামারীতে ব্রি-২৮ জাতের ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
গোটা উপজেলার দিগন্ত জোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ শেষে ধানের শীষগুলো সোনালী আভায় ভরে ওঠেছিল । বাতাসে ধানেরশীষের সাথে দোল খাচ্ছিল কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কিন্তু ব্লাস্ট নামক ছত্রাকটি অধিকাংশ কৃষকের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রি-২৮ জাতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্লাস্ট আক্রান্ত জমিতে বেশিরভাগ ধান চিটা হয়েছে।
এতে ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কেউ সেই চিটা ধান কেটে জমিতে হাল চাষ করছেন পাট বীজ বুনার জন্য। আবার কেউ ধান কেটে আটি বেধে বাজারে নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। গাছ কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, অন্যান্য ধানের সাথে দেড় বিঘা জমিতে ২৮ ধান চাষ করেছিলাম। ব্লাস্ট রোগে সব শীষ সাদা চিটা হয়েগেছে। ধান কেটে সেই জমিতে পাট বুনেছি।
আরেক কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, দুই বিঘা জমিতে ব্রি ২৮ ধান আবাদ করেছি। খরচতো উঠবেই না বরং দুই মণ ধান পাবো কি না সন্দেহ!
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২১২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ হয়েছে। যার মধ্যে ব্রি-২৮ চাষ হয়েছে ৩হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। তাদের মতে ৬ হতে ৮ হেক্টর জমির ব্রি-২৮ ধান ক্ষেত ব্লাস্টার রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান-ছত্রাকজনিত এই ব্লাস্টার রোগের প্রাদুর্ভাব উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে-সঙ্গে সকল উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে-মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানসহ কীটনাশক প্রয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় আক্রান্তের পরিমাণ অনেকটাই কম।